৪ঠা মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, দুপুর ২:২৬
শিরোনাম:

একজন নাগরিকও যেন অনাহারে না থাকে সে লক্ষ্যে কাজ করছে সরকার: তথ্যমন্ত্রী

মন্ত্রী বলেন, সরকার চেষ্টা করে যাচ্ছে এ বিশেষ পরিস্থিতিতে যারা দিন আনে দিন খায়, যারা দরিদ্র , তাদের অসুবিধা না হয়। সরকারের পাশাপশি বিত্তবান, দয়ালু এবং সমাজসেবীরাও এগিয়ে এসেছে। আমাদের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় এ দুর্যোগ মোকাবিলা করতে হবে।

রোববার দুপুরে রাজধানীতে সচিবালয়ে তথ্য মন্ত্রণালয়ের নিজ দপ্তরে সীমিত পরিসরে অফিস খোলার প্রথম দিন অনলাইনে গণমাধ্যমে দেয়া বক্তব্যে তিনি একথা বলেন। এসময় তথ্যসচিব কামরুন নাহার, প্রধান তথ্য অফিসার সুরথ কুমার সরকার ও মন্ত্রণালয়ের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের এক তৃতীয়াংশের বেশি মানুষ সরকারের নানা সহায়তা কর্মসূচির আওতার মধ্যে আছে এবং সহায়তা পাচ্ছে। তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘সরকার ভিজিডির মাধ্যমে ১০ লাখ ৪০ হাজার পরিবারকে সহায়তা দিচ্ছে। খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির মাধ্যমে ৫০ লাখ পরিবারকে ১০ টাকা মূল্যে চাল বিতরণ করা হচ্ছে। সাড়ে ১২ লাখ পরিবার ওএমএসের মাধ্যমে সহায়তা পাচ্ছে। মৎস্য ভিজিএফ এ মাসে আগামী মাসে ৩ লাখ পরিবার মৎস্য ভিজিএফ পাবে। এর বাইরে জেলা প্রশাসন শাক-সবজি, দুধ কিনে জনগণের মধ্যে বিতরণ করছে।

এ বিশেষ পরিস্থিতির কারণে ত্রাণ মন্ত্রণালয় থেকে এ পর্যন্ত শনিবার পর্যন্ত ১ লাখ ১৫ হাজার মেট্রেক টন চাল, ৪৯ কোটি টাকা ও শিশুখাদ্যের জন্য বিশেষ নগদ অর্থ ১১ কোটি ১০ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে, জানান ড. হাছান মাহমুদ। ‘তাছাড়াও বিধবা ভাতা, বয়স্ক ভাতা, স্বামী পরিত্যক্ত ভাতাসহ নানাবিধ ভাতার মাধ্যমে দেশের আরো প্রায় ১ কোটির কাছাকাছি লোক নানাধরণের সহায়তা পাচ্ছে। অর্থাৎ দেশের এক তৃতীয়াংশের বেশি মানুষ সরকারের এই সহায়তার আওতার মধ্যে রয়েছে’ বলেন তথ্যমন্ত্রী।