৩রা মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, বিকাল ৩:০৪
শিরোনাম:

মেস ভাড়া নিয়ে বিপাকে মধ্যে কুবি শিক্ষার্থীরা

কুবি প্রতিনিধি, কৌশিক আহমেদ  প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাস সংক্রমণ রোধে দেশব্যাপী লকডাউনের কারণে মেস ও বাসা ভাড়া নিয়ে চরম বিপাকে পড়েছেন কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের নিম্ন ও মধ্যবিত্ব পরিবারের শিক্ষার্থীরা। এমতবস্থায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মেস বা বাসা ভাড়া না নেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. কাজী মোহাম্মদ কামাল উদ্দিন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, আবাসন সুবিধার অভাবে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিকাংশ শিক্ষার্থীরা শহরের কান্দিরপাড়, কোর্টবাড়ি, সালমানপুর এবং ক্যাম্পাসের আশপাশের এলাকায় মেসে থাকেন। কেউ কেউ বাসা বাড়ির রুম ভাড়া নিয়েও থাকেন। কিন্তু করোনা ভাইরাসের এই পরিস্থিতিতে শিক্ষার্থীরা নিজ নিজ বাসায় অবস্থান করছেন।
এই করোনা পরিস্থিতিতেও মেস বা বাসার মালিক ফোন করে ও খুদে বার্তা পাঠিয়ে ভাড়া পরিশোধের কথা বলছেন। এমতাবস্থায় যা অনেক শিক্ষার্থীর পক্ষে কঠিন হয়ে পড়েছে। বিশেষ করে যে শিক্ষার্থীদের পারিবারিকভাবে অস্বচ্ছল কিংবা নিজেরা টিউশনি করে খরচ জোগাড় করতো সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়তে হচ্ছে তাদের। তাই অনেকে মেস এবং বাসা ভাড়া বিষয়ে প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করে আসছিলো ।
এই বিষয়ে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. কাজী মোহাম্মদ কামাল উদ্দিন বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা যেহেতু টিউশনি করে মেস কিংবা বাসা ভাড়া দিয়ে থাকে কিন্তু এই করোনা পরিস্থিতিতে টিউশনি বন্ধ এবং সবাই নিজ নিজ বাড়ি চলে গেছে। এই পরিস্থিতিতে বিশ্ববিদ্যালয় পরিবার বরং অসহায় শিক্ষার্থীদের সাহায্য-সহযোগিতা করে যাচ্ছে তাই এই মুহূর্তে সকল বাড়িওয়ালাদের অনুরোধ করছি যাতে করোনার এই মানবিক দিক বিবেচনা করে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে মেস ভাড়া না নেয়।
তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন, শিক্ষার্থীদের মানবিক দিক বিবেচনা করে এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কুমিল্লা জেলা প্রশাসক এবং কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনের সাথে কথা বলে শীঘ্রই একটা বিজ্ঞপ্তি দেওয়া চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
এই বিষয়ে ফার্মেসি বিভাগের শিক্ষার্থী কাউছার হামিদ জীবন বলেন, এই পরিস্থিতিতে অনেকের পরিবারের পক্ষ থেকে মেসের ভাড়া দেওয়া কঠিন। আর যারা টিউশনি করে চলতো এখন করোনা পরিস্থিতির কারণে বাড়িতে বসে থাকতে হচ্ছে তারা কীভাবে মেস ভাড়া দিবে সেটাও ভাবার বিষয়। সবাইকে পরস্পরের প্রতি সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিতে হবে না হয় এই দূর্যোগ কেটে উঠা কষ্টকর হয়ে যাবে৷ মানবিক কারনে শিক্ষার্থীদের মেস ভাড়ার বিষয়ে ছাড় দেয়া উচিৎ। এই ক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে বলে আমি মনে করি।”
আইসিটি বিভাগের শিক্ষার্থী ইসতিয়াক হোসেন শুভ বলেন, আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিকাংশ শিক্ষার্থী বিভিন্ন টিউশন বা খন্ডকালীন চাকুরীর মাধ্যমে নিজেদের খরচ নিজেরাই বহন করে থাকি। দেশের এই পরিস্থিতিতে সকল কিছু বন্ধ থাকায় বাড়ি ভাড়া আমাদের বেশীরভাগের কাছেই মরার উপর খড়ার ঘা এর মতো। তাই প্রশাসনের কাছে আমাদের অনুরোধ থাকবে উনারা বিষয়টা সর্বোচ্চ গুরুত্ব সহকারে নিবেন এবং বাড়িওয়ালারা যাতে ভাড়া নিয়ে শিক্ষার্থীদের জোর করতে না পারে সে বিষয়ে একটা বিজ্ঞপ্তি দিয়ে সকল শিক্ষার্থীদের পাশে দাঁড়াবেন।