১৮ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, সকাল ১০:৪১
শিরোনাম:

ষষ্ঠ দফায় সাধারণ ছুটির মেয়াদ ১৬ মে পর্যন্ত বৃদ্ধি করে প্রজ্ঞাপন জারি

দেশে করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) সংক্রমণের ঝুঁকি কমাতে ফের সাধারণ ছুটি বাড়িয়েছে সরকার। সোমবার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের এ সংক্রান্ত আদেশে বলা হয়েছে, করোনা ভাইরাস রোগ (কোভিড-১৯) এর বিস্তার রোধে শর্ত সাপেক্ষে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে আগামী ৭ মে থেকে ১৪ মে পর্যন্ত সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেছে সরকার। এর মধ্যে ৬ মে বুদ্ধপূর্ণিমার সরকারি ছুটি, ৮ ও ৯ মে এবং ১৫ ও ১৬ মে তারিখের সাপ্তাহিক ছুটি অন্তর্ভূক্ত থাকবে।

ছুটির সময়ে জনসাধারণ ও সকল কর্তৃপক্ষকে স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের জারি করা নির্দেশনা কঠোরভাবে মেনে চলার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

জরুরি পরিসেবা যেমন, বিদ্যুত, পানি, গ্যাস, জ্বালানী, ফায়ার সার্ভিস, স্থলবন্দর, নদীবন্দর, সমুদ্রবন্দরেরর কার্যক্রম, পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম, টেলিফোন ও ইন্টারনেট এবং ডাক সেবাসহ এ সংশ্লিষ্ট সেবা কাজে নিয়োজিত যানবাহন ও কর্মীগণ এই ছুটির বাইরে থাকবে।

সড়ক, নৌ পথে সকল প্রকার পণ্য পরিবহন কাজে নিয়োজিত যানবাহন (ট্রাক, লরি, কার্গোভেসেল) চলাচল অব্যাহত থাকবে।

কৃষিপণ্য, সার, কীটনাশক, খাদ্য, শিল্পপণ্য, রাষ্ট্রীয় প্রকল্পের মালামাল, কাঁচা বাজার, খাবার, ঔষধের দোকান, হাসপাতাল ও জরুরী চিকিৎসা সেবায় নিয়োজিত চিকিৎসক ও কর্মী এবং ঔষধ, চিকিৎসা সরঞ্জামাদি বহনকারী যানবাহন ও কর্মী, গণমাধ্যম (ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়া)সহ ক্যাবল টিভি নেটওয়ার্কে নিয়োজিত কর্মীরা এই ছুটির আওতার বাইরে থাকবে উল্লেখ রয়েছে আদেশে।

ঔষধ শিল্প, উৎপাদন ও রপ্তানীমূখী শিল্পসহ সকল কল-কারখানা কর্তৃপক্ষ শ্রমিকদের নিরাপত্তা এবং স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করে চালু রাখতে পারবে। তবে এক্ষত্রে স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করতে এবং তা প্রতিপালন নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে।

পরিস্থিতি বিবেচনা করে পরবর্তীতে শিল্প কারখানা, কৃষি এবং উৎপাদন ও সরবরাহ ব্যবস্থার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ক্ষত্রগুলো পর্যায়ক্রমে উন্মুক্ত করা হবে।

সাধারণ ছুটিকালীন কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা রাখতে নিষেধ করা হয়েছে। রোজা, ঈদ, এবং ব্যাবসা-বানিজ্যের সুবিধার্থে ব্যাংকিং ব্যবস্থা চালু রাখার বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দিবে।

সকল মন্ত্রণালয়/বিভাগ তাদের আওতাধীন দপ্তর প্রয়োজন অনুযায়ী খোলা রাখতে পারবে। একই সঙ্গে তাদের অধিক্ষত্রের কার্যাবলী পরিচালনার জন্য সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা জারি করবে।

ঈদ-উল-ফিতরের সরকারি ছুটিতে কেউ যাতে নিজ কর্মস্থল ত্যাগ না করে সেই নির্দেশনাও দেয়া হয়েছে আদেশে।