১৭ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, দুপুর ১:১৪
শিরোনাম:

প্লাজমা সংগ্রহের কার্যক্রম শুরু, পরীক্ষামূলক প্রয়োগ আগামী সপ্তাহে

শনিবার ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের রক্তপরিসঞ্চালন বিভাগে আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয় দেশের ইতিহাসে প্রথম প্লাজমা সংগ্রহের কার্যক্রম। প্রথম দিনে প্লাজমা দান করেন দুই স্বেচ্ছাসেবি চিকিৎসক। তবে সরকারীভাবে এখনো এর কোনো অনুমতি মিলেনি। অপেক্ষায় আছে, বাংলাদেশ চিকিৎসা গবেষণা পরিষদে-বিএমআরসির এথ্যিক্যাল কমিটির অনুমোদনের জন্যও।

প্লাজমা থেরাপির জন্য গঠিত কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ডা. এম এ খান বলেন, যারা প্লাজমা থেরাপি দেবেন তাদের প্রশিক্ষণ, তথ্যসংগ্রহ, প্লাজমা দেওয়ার আগে কিছু পরীক্ষাও করতে হয়। পরীক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি ইতোমধ্যে স্পেন থেকে চলে এসেছে।

তিনি বলেন, অনেকগুলো স্যাম্পল কালেক্ট করার পর একসঙ্গে এই পরীক্ষা করা হবে। নইলে কিটগুলো নষ্ট হবে। আর পরীক্ষাটা যেহেতু আন্তর্জাতিক মান অনুযায়ী করতে হবে, সেজন্য আমরা সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়ে শুরু করছি। অধ্যাপক খান বলেন, এই কাজ এগিয়ে নিতে এখন তাদের সামনে দুটো চ্যালেঞ্জ- একটি দাতা সংগ্রহ করা, অন্যটি অর্থের ব্যবস্থা করা।

একজনের কাছ থেকে প্লাজমা সংগ্রহ করতে খরচ হয় ১২ হাজার টাকা। এছাড়া পরীক্ষায়ও আরও কিছু টাকা খরচ হয়। ভবিষ্যতে আমরা যখন এটার পরিসর বাড়াব, তখন পরীক্ষার জন্য আরও কিট লাগবে। সেজন্য ফান্ড দরকার। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় আমাদের আশ্বাস দিয়েছেন। তবে সরকারি ব্যাপার কিছুটা সময় দরকার।

স্বেচ্ছাসেবি দুই চিকিৎসক হলেন, সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের কিডনি রোগ বিভাগের মেডিকেল অফিসার ডা. মো. দিলদার হোসেন বাদল ও স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের অ্যানেস্থেশিয়া বিভাগের রওনক জামিল পিয়াস।