২০শে মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, রাত ৪:১৮
শিরোনাম:

উপজেলা প্রশাসনের ব্যাপক প্রস্তুতি উপকূলের দিকে ধেঁয়ে আসছে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় ‘আম্ফান’

নইন আবু নাঈমঃ প্রবল গতিতে উপকূলের দিকে ধেঁয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় ‘আম্ফান’। দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে ঝড়টি। শক্তি সঞ্চয় করে ধীরে ধীরে অগ্রসর হচ্ছে উত্তর-পশ্চিম উপকূলের দিকে। চলছে ৪ নম্বর স্থানীয় হুঁশিযারি সংকেত। এই ঘূর্ণিঝড়টি সিডরের চেয়েও অধিক গতিসম্পন্ন। বর্তমানে মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দর থেকে ১২শ কিলোমিটার দুরত্বে অবস্থান করছে এবং ঝড়টির গতিপথ অপরিবর্তিত রয়েছে। আগামী মঙ্গলবার অথবা বুধবার নাগাদ উপকূলে আঘাত হানতে পারে আম্ফান। রবিবার দুপুরে বাগেরহাটের শরণখোলা উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে ঘূর্ণিঝড় আম্ফান মোকাবেলায় আগাম প্রস্তুতিমূলক এক জরুরী সভায় ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচীর (সিপিপি) উপ-পরিচালক মো. আব্দুল লতিফ এতথ্য জানিয়েছেন। ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলায় শরণখোলা উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ হতে গ্রহন করা হয়েছে ব্যাপক প্রস্তুতি।

সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী উপজেলা ১০৭টি আশ্রয়কেন্দ্র সচল, ইউনিয়ন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটি, সিপিপির ইউনিট, রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির সেচ্ছাসেবক টিম প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে। দুর্যোগ মুহূর্তে একেকটি আশ্রয়কেন্দ্রে গড়ে ২০০জন করে আশ্রয় নেওয়ার ধারণা করে মোট সাড়ে ২১হাজার মানুষের খাদ্য সরবরাহের জন্য চিড়া, গুড়, পানিসহ মোমবাতি ও দিয়াশলাই মজুদ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। পাশাপাশি করোনার এই দুর্যোগে আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে পর্যাপ্ত স্বাস্থ্য সুরক্ষার ব্যবস্থা গ্রহণ করার সিদ্ধান্ত হয়। এছাড়া, এইমুহূর্তে বঙ্গোপসাগর ও বিভিন্ন নদ-নদীতে অবস্থানরত শরণখোলা উপজেলার সকল ফিশিং ট্রলার ও নৌকাসমূহ দ্রæত উপকূলে ফিরিয়ে আনার জন্য স্থানীয় মৎস্যজীবি সংগঠন, মৎস্য আড়ৎ ও ট্রলার মালিকদের কাছে মৎস্য বিভাগকে বার্তা পৌঁছানো এবং মাঠের রবিশস্য সংরক্ষণেও কৃষি বিভাগকে সতর্ক নজরদারি রাখতে বলা হয়েছে। উপজেলা চেয়ারম্যানের কার্যালয়ে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান রাহিমা আক্তার হাসির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় ইউএনও সরদার মোস্তফা শাহিন সভার সিদ্ধান্তসমূহ যথাযথ বাস্তবায়নের জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোকে দিক নির্দেশনা দেন। সভায়, সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা, স্বাস্থ্য বিভাগ, ফায়ার সার্ভিস, রাজনৈতিক দলের নেতা, জনপ্রতিনিধি, সাংবাদিক ও এনজিও কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। ##