২০শে মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, সকাল ৬:৩৮
শিরোনাম:

বাড়ি ফেরার দাবিতে আবারও বিক্ষোভে রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ভারতীয় শ্রমিকরা

নইন আবু নাঈমঃ বাড়ি ফেরাসহ বিভিন্ন দাবিতে দ্বিতীয় বারের মত বিক্ষোভ করছে বাগেরহাটের রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের কর্মরত ভারতীয় শ্রমিকরা। রবিবার (১৭ মে) বেলা ১২টার দিকে নিরাপত্তাকর্মীদের বাঁধা উপেক্ষা করে নির্মানাধীন বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে বের হয়ে পায়ে হেটে রওনা হলে খুলনা-মোংলা মহাসড়কের বাবুর বাড়ির মোড়ে পৌছালে তাদের গতিরোধ করেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। ওই মোড়েই তারা বিক্ষোভ করতে থাকেন। এক পর্যায়ে দুপুর দুইটার দিকে তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের কর্তৃপক্ষ ও পুলিশ প্রশাসনের জেলার শীর্ষ কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদেরকে বুঝিয়ে সড়ক থেকে পাশে সরিয়ে দেন। সেখানে দফায় দফায় আলোচনা চলছে। এর আগে গত ৪মে একই দাবিতে ভারতীয় কয়েকশ শ্রমিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের সীমানা অতিক্রম করে রাস্তায় বের হয়ে হেটে বাড়ি যাওয়ার জন্য রওনা দেয়। প্রশাসণের হস্তক্ষেপে তারা আবার বিদ্যুৎকেন্দ্রে ফিরে যায়। শ্রমিকরা বলেন, দীর্ঘদিন ধরে আমরা এই তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে কাজ করছি। করোনা পরিস্থিতিতে আমরা ঠিকমত পরিবার ও স্বজনদের সাথে যোগাযোগ করতে পারছি না।

লকডাউনের দোহাই দিয়ে আমাদেরকে বাড়িতে যেতে দেওয়া হচ্ছে না। ঠিকমত খাবারও পাচ্ছি না। এর আগেও আমরা বাড়ি যাওয়ার জন্য রাস্তায় এসেছি। প্রশাসণের আশ্বাসে আমরা বিদ্যুৎকেন্দ্রে ফিরে গেছিলাম। কিন্তু তাদের আশ্বাসেও আমাদের জন্য কোন ব্যবস্থা করেনি কর্তৃপক্ষ। আমরা যেকোন মূল্যে বাড়িতে (ভারতে) যেতে চাই বলে চিৎকার করতে থাকেন শ্রমিকরা। রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের উপ-প্রকল্প পরিচালক মোঃ রেজাউল করিম বলেন, করোনা পরিস্থিতিতে সব ধরণের যাতায়াত ব্যবস্থা বন্ধ রয়েছে। আমরা শ্রমিকদের দেশে ফেরত পাঠাবার জন্য ভারতীয় হাই কমিশনারের সাথে কথা বলেছি। তারাও চেষ্টা করছেন। তাদেরকে ভারতে ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য। কিন্তু করোনার কারণে বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতার কারণে তা সম্ভব হচ্ছে না। এর মধ্যেই শ্রমিকরা পরিস্থিতি বিবেচনায় না নিয়ে বিক্ষোভ করছেন। তারা কারও কথা শুনছেন না। বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক মোঃ মামুনুর রশীদ বলেন,শ্রমিকদের বিক্ষোভের খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে এসেছি। শ্রমিকদের বুঝিয়ে সড়কের পাশে নেওয়া হয়েছে। তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলে তাদের বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।