৩রা মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, বিকাল ৫:০৬
শিরোনাম:

নাটোরের আকাশ ছেয়েগেছে রং-বেরঙের ঘুড়িতে

কৌশিক আহমেদ; রং-বেরঙের ঘুড়িতে সেজেছে নাটোরের নীল আকাশ। ঘুড়ি উড়ানোর আমেজে মেতে উঠেছে প্রায় সকল বয়সী মানুষ। ঘুড়ি উড়াচ্ছেন খোলা মাঠে কেউ বা আবার বাড়ির ছাদে। করোনাভাইরাসের কারনে বন্দি জীবন কাটাচ্ছে গুরুদাসপুরবাসী।
ফলে চরম অসুবিধায় পড়েছে শিশু কিশোররা। একদিকে স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় প্রায় সকল প্রতিষ্ঠান বন্ধ। অন্যদিকে খেলা-ধুলারও উপায় নেই। সারাদিন টিভি, মোবাইল গেমস, ফেসবুক চালিয়ে একঘেয়েমি চলে আসছে তাদের। তাই তারা পরিবার পরিজন নিয়ে খোলা মাঠে বা বাড়ির ছাদে ঘুড়ি উড়িয়ে আনন্দ লাভের চেষ্টা করছেন।
ঘুড়িপ্রেমীরা জানিয়েছেন, আমাদের দেশে পঙ্খীরাজ, মাছঘুড়ি, বাদুড়ঘুড়ি, সাপঘুড়ি, নয়নতারা, প্রজাপতি, চিলি, ডাউসসহ বিভিন্ন নামের ঘুড়ি আছে। তবে ঘুড়ির চেয়ে বেশি দৃষ্টি কাড়ে ঘুড়ির লেজ।
চলনবিলের ধারে ঘুড়ি উড়াতে আসা এক ঘুড়িপ্রেমী বলেন, “ঘড়ে বসে টিভি, সিনেমা, ফেসবুক এখন আর ভালো লাগেনা। তাই ঘুড়ি নিয়ে বেড়িয়ে পড়ি”
তারা সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে এসব আনন্দ উপভোগ করছেন।
আরো বেশি আকর্ষিত করছে, রাতে জোনাকীর মতো বিভিন্ন লাইটের মাধ্যমে ঘুড়ি উড়ানো। এতে রাতের আকাশ আরো সুন্দর ও ঝলমলে করছে। সরেজমিনে দেখা যায়, নাটোর গুরুদাসপুর উপজেলার ধারাবারিষা ইউনিয়নসহ বিভিন্ন ইউনিয়নে এসব ঘুড়ি উড়ানো হচ্ছে।
এ বিষয়ে ধারাবারিষা ইউপির এক সদস্য বলেন, ঘুড়ি উড়ানো বাংলা প্রাচীন উৎসব। এটি প্রায় দিনদিন হারিয়ে যাচ্ছে। তবে কিছু ঘুড়িপ্রেমীদের কারনে আজও টিকে আছে। রাতের আকাশে লাইটিং করা ঘুড়িকে তিনি কৃত্রিম তারা বলে মন্তব্য করেছেন। এ উৎসব গ্রাম বাংলাকে আরো মুখরিত করেছে।