২০শে মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, রাত ৩:৩৫
শিরোনাম:

সন্দ্বীপে আছড়ে পড়ছে ঘূর্ণিঝড় আম্ফান, ৮ ফুট উঁচু ঢেউ, ভাঙছে বাঁধ, অন্যসব উপকূল অতিক্রম শুরু

অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় আম্ফানের প্রভাবে খুলনা, যশোর, বরগুনা, পটুয়াখালী ও বরিশালে ইতোমধ্যে ঝড়ো হাওয়া শুরু হয়েছে। বুধবার বিকেল চারটা থেকে বাংলাদেশের সুন্দরবনকে পূর্বে রেখে এটি অতিক্রম শুরু করেছে। রাত ৮টার মধ্যে উপকূল অতিক্রম করবে আম্ফান।

[৩] ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৮৫ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ১৮০ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়া আকারে ২০০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ঘূর্ণিঝড় অতিক্রমকালে এই এলাকাগুলোতে ঘণ্টায় ১৪০ থেকে ১৬০ কিলোমিটার গতিতে বাতাস প্রবাহিত হতে পারে। আম্ফানের প্রভাবে চার সমুদ্রবন্দর ও তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ এবং চরসমূহ বিশেষ করে পায়রা ও মোংলার কাছাকাছি দ্বীপ ও নিম্নাঞ্চলগুলোয় স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ১০ থেকে ১৫ ফুট অধিক উচ্চতায় প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। ঘূর্ণিঝড় অতিক্রমের সময় এসব এলাকায় ও অদূরবর্তী দ্বীপ এবং চরসমূহে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিরও আশঙ্কা রয়েছে।

[৪] আবহাওয়া অফিস বলছে, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত এবং কক্সবাজার ও চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরকে ৯ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখানো হয়েছে। চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরগুলো কাছাকাছি অনেকেই অবস্থান করছেন। তাদের বলব, এখনও সময় আছে আপনারা নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যান। তা নাহলে বিপদে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে।

ঘূর্ণিঝড় আম্ফান আর কিছুক্ষণের মধ্যে উপকূল অতিক্রম শুরু করবে। হয়তো বিকেল ৪টা থেকে রাত ৮টার মধ্যে উপকূল অতিক্রম করা শুরু করবে। উপগ্রহের ছবি থেকে আমরা দেখছি যে, ঘূর্ণিঝড়টি উপকূল অতিক্রম শুরু করেছে। ঘূর্ণিঝড়টির সবচেয়ে কাছাকাছি অবস্থানে আছে মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দর।

বুধবার বিকেলে দক্ষিণ সন্দ্বীপের বঙ্গোপসাগর থেকে ৭-৮ উঁচু ঢেউ আছড়ে পড়ছে সন্দ্বীপ উপকূলে। চট্টগ্রামের মূল ভূখণ্ড থেকে বিচ্ছিন্ন এই দ্বীপ উপজেলার বেশ কয়েকটি বাঁধে ইতিমধ্যেই ভাঙন দেখা দিয়েছে। বুধবার দুপুর ১২টার দিকে সন্দ্বীপ পৌরসভা ২ নং ওয়ার্ডে ঘূর্ণিঝড় আম্ফানের জোয়ারে ভেসে যাওয়া এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করেছে স্থানীয়রা।