১৮ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, বিকাল ৩:৩৩
শিরোনাম:

চীনে উপসর্গহীন সংক্রমণ, ভাবিয়ে তুলেছে চিকিৎসকদের

চীনের উহানের উত্তর-পূর্বপ্রান্তে নতুন করে দেখা দিচ্ছে উপসর্গহীন সংক্রমণ। আক্রান্তদের দেহে ভাইরাসের গঠনগত পরিবর্তন লক্ষ করছেন চীনা চিকিৎসকরা! অজানা উপায়ে পরিবর্তিত হচ্ছে এই মরণ ভাইরাসের চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য। যা ভাবতে বাধ্য করছে বিশেষজ্ঞদের।

বৃহস্পতিবার (২১ মে) সকালে কলকাতার সংবাদ প্রতিদিন-এ প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশিত হয়েছে। এটি সংবাদ প্রতিদিন – এর অনলাইন সংস্করণে প্রকাশ করা হয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, করোনা ভাইরাসের আঁতুড়ঘর হিসেবে বিশ্বে চিহ্নিত হয়েছে চীনের উহান। এই উহানের (Wuhan) উত্তর-পূর্বপ্রান্তে আক্রান্তদের শরীরে ক্রমেই চারিত্রিক ও গঠনগত পরিবর্তন করছে ভাইরাস। ফলে চিকিৎসকদের কাছে এই ভাইরাস এক চিন্তার কারণ রূপ দেখা দিচ্ছে। যা ধীরে ধীরে জটিল থেকে জটিলতর হয়ে উঠছে। আক্রান্তদের চিকিৎসার আগে তাই তাদের আরও বেশি করে পর্যবেক্ষণ করছেন চিকিৎসকরা।

প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, গত মঙ্গলবার রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনকে সাক্ষাৎকার দেওয়ার সময় এক চিকিৎসক কিউইউ হাইবো জানান, চীনের উত্তরে জিলিন এবং হিলংজিয়াংয়ের উত্তরাঞ্চলীয় প্রদেশের রোগীরা দীর্ঘসময় ধরে এই ভাইরাসটি বহন করেছেন। তাদের শরীর থেকে ভাইরাসটি নির্মূল করতে সময়ও লাগছে বিস্তর। উহানের আক্রান্তদের তুলনায় এই অঞ্চলের সংক্রমিতদের মধ্যে রোগের লক্ষ্ণণ ধরা পড়েছে অনেক পরে। ফলে দ্রুত সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়লে তা বোঝার উপায় নেই। এভাবে কোনও উপসর্গ ছাড়াই উত্তরাঞ্চলের মানুষ আক্রান্ত হয়ে পড়ছেন।

গত দু সপ্তাহে চীনের উত্তরাঞ্চলের শুলান (Shulan), জিলিন (Jilin), শ্যেনগ্যাঙ্গ (Shengyang) মিলিয়ে মোট ৪৬ জনের শরীরে সংক্রমণের সন্ধান পাওয়া গেছে। তবে তাদের শরীরে কোনও উপসর্গ নেই বলেই জানা যায়। এর জেরে উত্তর-পূর্ব প্রান্তে নতুন করে লকডাউন জারি করার উপক্রম শুরু হয়েছে। এক কোটির অধিক মানুষকে গৃহবন্দি করে রাখা হয়েছে।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, চীনের হুবেই প্রদেশের উহানে ভাইরাসের গঠনও চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য দেখে চিকিৎসা শুরু করা সম্ভব হলেও উত্তরাঞ্চলের সংক্রমিতদের শরীরে পাওয়া ভাইরাসের বৈশিষ্ট্য একেবারেই আলাদা। তাই সংক্রমিতদের চিকিৎসার আগে তাদের আরও বেশি পর্যবেক্ষণ প্রয়োজন বলেই মত বিশেষজ্ঞদের। চীনের উত্তর-পূর্ব প্রান্তে যে সংক্রমণ দেখা দিয়েছে তা হুবেই প্রদেশের তুলনায় ছোট কিন্তু চারিত্রক গঠনের পরিবর্তন চিকিৎসকদের মাথা ব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই ভাইরাসের চারিত্রিক পরিবর্তন নিয়ে হংকং বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক কেইজি ফুকুডা বলেন, তত্ত্ব অনুসারে ভাইরাসের জিনগত পরিবর্তনই তার চারিত্রিক ও গঠনগত পরিবর্তনের মূল কারণ হতে পারে।