১৮ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, রাত ৯:২৯
শিরোনাম:

ভ্যাকসিন পাওয়ার দিনক্ষণ হিসাব করতে নিষেধ করলেন শীর্ষ এইচআইভি বিজ্ঞানী

যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ বিজ্ঞানী উইলিয়াম হ্যাসেলটাইন বলেছেন, বিশ্বজুড়ে করোনা সংক্রমণ ৫০ লাখ ছাড়িয়ে গিয়েছে। এই অবস্থায় কোনো দেশের সরকারগুলোই করোনার টিকা দ্রুত চলে আসবে এই হিসেব কষা উচিত নয়। নিউইয়র্ক পোস্ট, দ্য গার্ডিয়ান

হ্যাসেলটাইন এর পূর্বে ক্যান্সার, এইচআইভি/এইডস ও হিউম্যান জিনোম প্রকল্পের গবেষণার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তিনি বলেন, ‘মহামারী মোকাবেলা করার সর্বোত্তম উপায় রোগীদের শনাক্ত করা ও কঠোরভাবে আইসোলেশন নিশ্চিত করা। টিকা কখন আবিষ্কার হবে আমি এটিকে ধরছিই না।’

তিনি জনগণকে মাস্ক পরিধান, নিয়মিত হাত ধোয়া, বাসা-বাড়ি অফিস পরিষ্কার করা ও সামাজিক দুরুত্ব বজায় রাখার আহ্বান জানান।

হ্যাসেলটাইন বলেন, যুক্তরাষ্ট্রসহ অন্যান্য দেশগুলো জনগণকে ভাইরাস থেকে সুরক্ষায় জোরপূর্বক আইসোলেট করতে পারছে না। যুক্তরাষ্ট্র রাশিয়া ও ব্রাজিলে পরিস্থিতি ক্রমেই খারাপ হচ্ছে। ব্রাজিলে এক দিনে প্রায় ২০ হাজার করোনা শনাক্ত হয়েছে। তবে তিনি সংক্রমণ রোধে চীন, দক্ষিণ কোরিয়া ও তাইওয়ানের প্রচেষ্টায় প্রশংসা করেন।

হ্যাসেলটাইন জানান, এর আগে হালনাগাদ হওয়া অন্য ধরনের করোনা ভাইরাসজনিত ভ্যাকটিসগুলো নাকের শ্লেষ্মা ঝিল্লিকে সুরক্ষিত করতে ব্যর্থ হয়েছিলো যা দিয়ে ভাইরাস মূলত শরীরে প্রবেশ করে।

কোভিড-১৯ এর পরীক্ষামূলক টিকা প্রথমদিকে যে প্রাণীগুলোর শরীরে পরীক্ষা করা হয় তাদের ফুসফুসের মতো অঙ্গগুলোতে ভাইরাসের প্রভাব হ্রাস করতে সক্ষম হলেও সংক্রমণ রয়ে গিয়েছিলো।

বর্তমানে কোভিড-১৯ চিকিৎসার জন্য সুস্থ হওয়া রোগিদের দান করা অ্যান্টিবডি সমৃদ্ধ প্লাজমা ব্যবহৃত হচ্ছে। এবং ঔষধ প্রস্তুতকারীরা পরিশোধিত ও ঘনীভূত সিরাম উৎপাদন করছেন।

হাইপারিস্মুন গ্লোবুলিন হিসেবে পরিচিত এই পণ্যগুলো সম্ভবত করোনার প্রথম বাস্তবসম্মত চিকিৎসা হতে যাচ্ছে বলে জানান তিনি। অ্যান্টিবডির গবেষণা ছাড়াও এই পদ্ধতিতে সাফল্যের সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে, যা মানুষের কোষে প্রবেশ করা ভাইরাসে সক্ষমতা অকার্যকর করে দেয়।