১৮ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, রাত ১০:৪০
শিরোনাম:

আবিস্কৃত ভ্যাকসিন নিজেদের শরীরে প্রয়োগের পর এ্যান্টিবডির উপস্থিতি পেলেন রুশ বিজ্ঞানীরা

রাশিয়ার ন্যাশনাল রিসার্চ সেন্টার পর এপিডেমিওলজি এন্ড মাইক্রোবায়োজির বিজ্ঞানীরা করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন উদ্ভাবনের পর নিজেদের শরীরেই তা ইঞ্জেকশনের মাধ্যমে প্রয়োগ করেন। এরপর তারা দেখতে পান তাদের শরীরে তৈরি এ্যান্টিবডি করোনাভাইরাস প্রতিরোধে কোনো বিরুপ প্রতিক্রিয়া ছাড়াই তা কার্যকর হয়ে উঠছে। রিসার্চ সেন্টারের পরিচালক আলেকজান্ডার জিনজবার্গ বলছেন এ বিষয়টি রাষ্ট্র অনুমোদিত পরীক্ষার দিকে একধাপ এগিয়ে যাওয়ার শামিল। আরটি

বার্তা সংস্থা তাসকে আলেকজান্ডার জিনজবার্গ বলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রণালয়ের অনুমতি পেলে ভ্যাকসিনটির আনুষ্ঠানিক পরীক্ষা শুরু হবে।

ভ্যাকসিনের কার্যকারিতার সাথে সাথে করোনা প্রাদুর্ভাবের মধ্যে ডাক্তার, স্বাস্থ্যকর্মীদের চিকিৎসা সেবা চালিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে তা অবদান রাখতে পারে কিনা সেটিও পরীক্ষা করে দেখা হয়েছে। কতজন ভ্যাকসিন ইনঞ্জেকশন হিসেবে শরীরে নিয়েছেন তা না জানালেও জিনজবার্গ বলেন যারা নিয়েছেন তারা সুস্থ ও আনন্দের মধ্যেই কাজ করছেন।

জিনজবার্গ মনে করেন ভ্যাকসিনটি প্রয়োগের মধ্যে দিয়ে অন্তত ৬ মাস রাশিয়ার জনগণকে করোনা প্রতিরোধী হিসেবে তোলা যাবে। আগামী গ্রীষ্মে এটি অনুমোদন পাওয়ার পর প্রথমে তা চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মী ও বয়স্ক মানুষের শরীরে প্রয়োগ করা হবে।

আগামী জুলাই নাগাদ ভ্যাকসিন ব্যবহার হতে পারে বলে টিভি চ্যানেল রাশিয়াকে এর আগে জানান রুশ স্বাস্থ্যমন্ত্রী মিখায়েল মুরাশকো। রুশ উপপ্রধানমন্ত্রী তাতিয়ানা গোলিকোভা জানান এপর্যন্ত ভিন্ন ধরনের ৪৭টি ভ্যাকসিন নিয়ে চিকিৎসাবিজ্ঞানীরা কাজ করছেন।

রুশ সরকারি হিসেবে করোনায় মারা গেছে ৩ হাজার ২৪৯ জন। আক্রান্ত হয়েছে ৩ লাখ ২৬ হাজার ৪৪৮ জন এবং সেরে উঠেছে ৯৯ হাজার ৪২৫ জন।