২০শে মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ভোর ৫:৪৯
শিরোনাম:

শরণখোলায় প্রতিবন্ধী ছেলেকে মারপিট বিচারের আশায় দ্বারে দ্বারে ঘুরছে মা

নইন আবু নাঈমঃ বাগেরহাটের শরণখোলায় রিয়াদুল ইসলাম (১৭) নামের এক শারিরীক প্রতিবন্ধীকে বেধড়ক পিটিয়েছে এলাকার কিছু বখাটে। সামাজের গন্যমান্য ব্যক্তিদের দ্বারে দ্বারে ঘুরেও প্রতিবন্ধী সন্তানকে মারপিটের ঘটনার বিচার পায়নি এক অসহায় মা। গত ২২মে শরণখোলা উপজেলার দক্ষিণ রাজাপুর গ্রামের রসূলপুর বাজার সংলগ্ন এলাকায়। মারপিটের ঘটনাটি ঘটে। সরেজমিন অনুসন্ধান ও নির্যাতনের স্বীকার প্রতিবন্ধী পরিবার সূত্রে জানা গেছে, পাখির বাসা নিয়ে তুচ্ছ একটি ঘটনাকে কেন্দ্র করে গত ২২মে বিকাল ৪টার দিকে একই গ্রামের বাসিন্দা ফারুক ফকিরের পূত্র জুয়েল ফকির (৩০), দেলোয়ার ফকিরের পূত্র বেল্লাল ফকির (২৯), সোহরাব খাঁনের পূত্র রহিম খাঁন (২০), সিদ্দিক তালুকদারের পূত্র সিয়াম তালুকদার (২০) নামের চার বখাটে প্রতিবন্ধী রিয়াদুল ইসলামকে কিল, ঘুষি, লাথি ও এলোপাথাড়ী পিটিয়ে আহত করেন।

বিষটি তার মা রেকসোনা বেগম টের পেয়ে প্রতিবন্দী সন্তানকে বাঁচাতে গেলে তাকেও শারিরীকভাবে লাঞ্চিত করেন। অবস্থা খারাপ দেখে সটকে পড়ে ওই বখাটেরা। প্রতিবন্ধী রিয়াদুলের শারিরীক অবস্থার অবনতি ঘটলে একই দিন বিকালে শরণখোলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে এলাকাবাসী ও তার মা। পরের দিন রেকসোনা বেগম অসুস্থতা বোদ করলে হাসপাতালে ভর্তি হয়ে ২/৩ দিন পরে চিকিৎসা নিয়ে বাড়িতে গিয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য ও গন্যমান্য ব্যক্তিদের কাছে অভিযোগ করেও প্রতিকার পায়নি ভুক্তভোগী পরিবারটি। পরবর্তীতে গত ২জুন স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতা ও সাবেক ইউপি সদস্য আঃ রহমান হাওলাদার, ইউপি সদস্য লাঈলী কাঞ্চন, আওয়ামীলীগ নেতা আফজাল চাপরাশী, উপজেলা স্বেচ্ছা-সেবক লীগের আহŸায়ক রোকনুজ্জামান বিপ্লব সহ স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিরা রসূলপুর বাজারে শালিশ মিমাংসার জন্য বেঠকে বসলেও দুপক্ষের অভিযোগ শোনার পরেও কোন সুষ্ঠু সমাধান দিতে পারেননি তারা। তবে ইউপি সদস্য লাঈলী কাঞ্চন সহ অন্যান্য শালিশদাররা বলেন, প্রতিবন্ধী রিয়াদুলের মা রেকসোনা বেগম আমাদের অপমান করে শালিশ না মেনে চলে যান।

অপরদিকে রেকসোনা বেগম সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করে বলেন, শালিশ বৈঠকের নামে শালিশদাররা উপস্থিত শতাধিক লোকের সামনে অভিযুক্ত বখাটেদের পক্ষ নিয়ে আমাকে অশালীন ভাষায় গালিগালাজ করলে আমি শালিশ থেকে চলে আসি। শালিশ বৈঠকে উপস্থিত লোকজনের মধ্যে নাম প্রকাশ না করার শর্তে অনেকেই বলেন, বিষয়টি শালিশ বৈঠকের নামে প্রহসন ছাড়া আর কিছুই নয়। এ ব্যাপারে অভিযুক্ত জুয়েল ফকির ও বেল্লাল ফকিরের বক্তব্য না পাওয়া গেলেও অপর দুজন রহিম খাঁন ও সিয়াম তালুকদার বলেন, তারা কোন প্রকার মারামারি করাতো দূরের কথা বিষয়টি সম্পর্কে কিছুই জানেননা। উক্ত ঘটনায় গত ২জুন প্রতিবন্ধী রিয়াদুলের মা রেকসোনা বেগম বাদী হয়ে ৪জনকে আসামী করে শরনখোলা থানায় একটি অভিযোগ দাখিল করেন। এ ব্যাপারে শরণখোলা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এস.কে আব্দুল্লাহ আল সাঈদ বলেন, বিষয়টি সঠিকভাবে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে।