২০শে মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, সকাল ৬:৪৪
শিরোনাম:

করোনাভাইরাস : বৃহস্পতিবার থেকে খুলনায় দোকানপাট বন্ধ

খুলনায় করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় আগামী বৃহস্পতিবার (১১ জুন) থেকে নগরীর দোকানপাট বন্ধ থাকবে। ফুটপাথে কোনো হকার অবস্থান করবে না।

ইজিবাইকসহ অন্যান্য যান চলাচল সীমিত করা হবে। মানুষের ভিড়, মাস্ক ছাড়া চলাচল বরদাশত করা হবে না। মাস্ক ব্যবহারের নামে নাক-মুখ উন্মুক্ত থাকলে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

মঙ্গলবার (০৯ জুন) খুলনা জেলা করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে গঠিত কমিটির সভায় এসব সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হেলাল হোসেনের সভাপতিত্বে মঙ্গলবার দুপুরে সার্কিট হাউজে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

এ সময় খুলনা সিটি করপোরেশনের মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক, বিভাগীয় কমিশনার ড. মু. আনোয়ার হোসেন হাওলাদার ও খুলনা স্বাস্থ্য বিভাগের পরিচালক ডা. রাশেদা সুলতানা উপস্থিত ছিলেন।

এছাড়া সভায় ঢাকা থেকে অনলাইনে যুক্ত হন খুলনা করোনাভাইরাস প্রতিরোধে দায়িত্বপ্রাপ্ত এবং মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব (সমন্বয় ও সংস্কার) মো. কামাল হোসেন।

সভায় আরও সিদ্ধান্ত নেয়া হয়, অধিকসংখ্যক করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্তের লক্ষ্যে খুলনা মেডিকেল কলেজে আরও একটি পিসিআর মেশিন স্থাপন করা হবে। বর্তমানে ওই ল্যাবে দৈনিক সর্বোচ্চ ১৮৮টি নমুনা পরীক্ষা করা যায়; যা যথেষ্ট নয়। এছাড়া সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজেও একটি করোনাভাইরাস পরীক্ষার ল্যাব স্থাপনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

পাশাপাশি খুলনায় ক্রমাগত করোনা রোগী বাড়তে থাকায় আক্রান্তদের চিকিৎসায় খুলনা সদর হাসপাতালের চারতলায় ৪২টি বেড প্রস্তুত করে চিকিৎসাসেবা দেয়া হবে। ডায়াবেটিস হাসপাতালে দুটি অক্সিজেন হাই ফ্লো নজেল ক্যানেলা কেনার সিদ্ধান্ত হয়। করোনা রোগীদের কিডনি ডায়ালাইসিসের প্রয়োজন পড়লে শেখ আবু নাসের বিশেষায়িত হাসপাতালের পাঁচটি ডায়ালাইসিস বেড ব্যবহার করা হবে। খুলনার সব বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিক থেকে অক্সিজেন সিলিন্ডারগুলো সংগ্রহ করে খুলনা কোভিড হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য আনা হবে। করোনাভাইরাসের নমুনা সংগ্রহের জন্য জেলা প্রশাসন থেকে আরও একটি গাড়ি সিভিল সার্জনকে দেয়া হবে। নগরীর রয়্যাল মোড়ে অবস্থিত দূরপাল্লার গাড়িগুলোর কাউন্টার থেকে যাত্রী ওঠা-নামা বন্ধ থাকবে।

১১ হতে ২৫ জুন পর্যন্ত ভ্রাম্যমাণ আদালতের সংখ্যা ও কার্যক্রম বাড়ানো হবে। সন্ধ্যার পর চলাচল বন্ধ থাকবে। ওষুধ ও নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দোকান এবং জরুরি সেবা বাদে সব দোকানপাট বন্ধ থাকবে।

সভায় আরও জানানো হয়, বর্তমানে খুলনায় ২১৭ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। এর মধ্যে ১৪২ জনই খুলনা নগরীর।

সভায় উপস্থিত ছিলেন খুলনার অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার সরদার রকিবুল ইসালম, পুলিশ সুপার এসএম শফিউল্লাহ, খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. মুন্সী মো. রেজা সেকেন্দার, খুলনা মেডিকেল কলেজের উপাধ্যক্ষ ডা. মেহেদী নেওয়াজ, খুলনার সিভিল সার্জন ডা. সুজাত আহমেদ, খুলনার আঞ্চলিক তথ্য অফিসের উপপ্রধান তথ্য অফিসার ম. জাভেদ ইকবাল, জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আসাদুজ্জামান খান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) জিয়াউর রহমান, পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের উপপরিচালক আব্দুল আলিম প্রমুখ।