২০শে মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, রাত ৪:৩৫
শিরোনাম:

তালতলীতে পাখির গলা কেটে ফেসবুকে পোস্ট, ছাত্রদল নেতার বিরুদ্ধে মামলা

 বরগুনার তালতলীতে বাসা থেকে ডিম ও মাছরাঙা পাখি ধরে গলা কেটে ফেসবুকে পোস্ট দেয়ার অভিযোগে উপজেলা ছাত্রদলের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক কামরুজ্জামান ফারুকের বিরুদ্ধে বন্যপ্রাণী সুরক্ষা আইনে মামলা করা হয়েছে। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সাগর কর্মকার নামে এক পাখিপ্রেমিক বাদী হয়ে তালতলী থানায় মামলাটি করেছেন। তালতলী উপজেলার তালতলীপাড়া গ্রামে তার বাড়ি।

জানা যায়, উপজেলা ছাত্রদলের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ও উপজেলা যুবদলের আহবায়ক কমিটির সদস্য এবং জেলা ছাত্রদলের সদস্য কামরুজ্জামান ফারুক সোমবার রাতে গাছের কোঠর থেকে মাছরাঙা পাখি ধরে জবাই করে ডিমের পাশে রেখে ছবি তুলে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ফেসবুকে পোষ্ট দেয়। বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ বিভিন্ন মহলে সমালোচনা ও নিন্দার ঝড় ওঠে। পরে কামরুজ্জামান ফারুক নিজের ফেসবুক আইডি ডিঅ্যাক্টিভেট করে ফেলেন।

মামলার বাদী সাগর কর্মকার বলেন, বিবেকের তাড়নায় আমি মামলা করেছি। আমাদের দেশ থেকে মাছরাঙা পাখি বিলুপ্তির পথে। প্রাকৃতিক ভারসাম্য রক্ষার স্বার্থে আমাদের পশুপাখিকে রক্ষা করতে হবে। যারা নির্বিচারে পাখি হত্যা করে তাদের বিচার হওয়া উচিত।

বরগুনার আইনজীবী সাইমুল রাব্বি বলেন, বন্য প্রাণী সংরক্ষণ আইন ২০১২ অনুযায়ী, প্রোটেকটেড বোর্ড বা সুরক্ষিত এ সব পাখি শিকার করা দণ্ডনীয় অপরাধ। এই অপরাধে এক বছর কারাদণ্ড অথবা এক লাখ টাকা পর্যন্ত অর্থদণ্ড অথবা উভয় দণ্ডেদণ্ডি হবেন। একই অপরাধের পুনরাবৃত্তি ঘটলে সর্বোচ্চ দুই বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড অথবা সর্বোচ্চ দুই লাখ টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হতে পারেন।

তালতলী উপজেলা ছাত্রদল সভাপতি আতিকুর রহমান অসীম বলেন, একটা শিক্ষিত ছেলে বোকার মতো কাজ করেছে। জেলা ছাত্রদলের কাছে বহিস্কারের জন্য সুপারিশ করে পাঠিয়েছি তারা সিদ্ধান্ত নিবেন।

তালতলী থানার ওসি কামরুজ্জামান মিয়া বলেন, মাছরাঙা পাখির বাসা থেকে ডিম ও পাখি ধরে গলা কেটে হত্যা করার অভিযোগে থানায় মামলা হয়েছে। তদন্ত করে মামলার চার্জসিট আদালতে প্রেরণ করা হবে। আদলত বিধিমোতাবেক ব্যবস্থা নেবেন। সম্পাদনা: সারোয়ার জাহান