১৯শে মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, রাত ১২:৪৯
শিরোনাম:

বনানী কবরস্থানে চিরনিদ্রায় শায়িত মোহাম্মদ নাসিম

যথাযথ শ্রদ্ধা নিবেদন এবং সব ধরনের আনুষ্ঠানিকতা শেষে চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য, ১৪ দলের সমন্বয়ক ও সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম। রোববার রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় সকাল ১০টা ৫৭ মিনিটে রাজধানীর বনানী কবরস্থানে দাফন করা হয় তাকে। এর আগে মরহুমের প্রতি ঢাকা জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে গার্ড অব অনার দেয়া হয়।

পরে মোহাম্মদ নাসিমের মরদেহে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে তার সামরিক সচিব মেজর জেনারেল নকিবুর রহমান এবং রাষ্ট্রপতির পক্ষে তার সহকারী সামরিক সচিব ব্রিগেডিয়ার জেনারেল রাজু ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান। পরে মরহুমের প্রতি ফুল দিয়ে বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা জানানো হয়।

এসময় মোহাম্মদ নাসিমের ছেলে তানভীর শাকিল জয়সহ পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। দাফনের আগে তানভীর শাকিল জয় মোহাম্মদ নাসিমের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করে দেশবাসীর কাছে দোয়া কামনা করেন। তবে স্বাস্থ্যবিধি থাকায় সীমিত সংখ্যক মানুষকে কবরস্থানে প্রবেশাধিকার দেয়া হয়।

দেশে করোনাভাইরাস পরিস্থিতির কারণে স্বাস্থ্যবিধি মেনে মোহাম্মদ নাসিমকে দাফন করা হয়। প্রবীণ এই রাজনীতিককে শ্রদ্ধা জানানোর সকল অনুষ্ঠান ও একাধিক জানাজা বাতিল করা হয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা অনুযায়ী। প্রয়াত নাসিমকে সিরাজগঞ্জ নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হলেও তা বাতিল করা হয়। হাসপাতালের মরচুয়ারি মোহাম্মদ নাসিমের মরদেহ সকালে তার ধানমন্ডির বাসায় নেয়া হয়। এর পর সকাল ৯টা ৩৫ মিনিটে ধানমন্ডির সোবহানবাগ মসজিদে স্বাস্থ্যবিধি মেনে তার প্রথম নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। সেখান থেকে তার মরদেহ বনানীর উদ্দেশে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে সকাল ১০টা ২০মিনিটে রাজধানীর বনানী কবরস্থানে মোহাম্মদ নাসিমের দ্বিতীয় নামাজে জানাজা সম্পন্ন হয়।

হাসপাতালে টানা নয় দিন ধরে লাইফ সাপোর্টে থাকা নাসিমকে শনিবার বেলা ১১টা ১০ মিনিটের দিকে চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন। বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ সহচর জাতীয় চার নেতার একজন ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলীর ছেলে মোহাম্মদ নাসিম। তার বয়স হয়েছিল ৭২ বছর। তিনি স্ত্রী ও তিন সন্তান রেখে গেছেন। গত ১ জুন শ্বাসকষ্ট নিয়ে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হন মোহাম্মদ নাসিম। পরে তার শরীরে করোনাভাইরাস ধরা পড়ে।

চিকিৎসকদের চেষ্টায় তিনি করোনা থেকে মুক্তি পেলেও ৫ জুন স্ট্রোক করেন। মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণের কারণে দ্রুত অস্ত্রোপচার করে তাকে আইসিইউতে রাখা হয়। তার চিকিৎসায় গঠন করা হয় মেডিকেল বোর্ড। তবে একপর্যায়ে তিনি চলে যান গভীর কোমায়। সংকটাপন্ন নাসিমকে তার পরিবার বিদেশে নিতে চাইলেও তার সেই অবস্থাও ছিল না বলে চিকিৎসকরা জানান। গভীর কোমা থেকে শতচেষ্টাও তাকে আর ফেরাতে পারেননি চিকিৎসকরা।