১৮ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, সন্ধ্যা ৭:৫৫
শিরোনাম:

কাজে কোন ধরণের গাফিলতি-অবহেলা বরদাশত করা হবে না, মেয়র তাপস

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস বলেছেন, আমি নগরবাসীকে যন্ত্রণা থেকে মুক্তি দিতে চাই। তাই নতুন কর্মপরিকল্পনা অনুযায়ী আমাদের কার্যক্রমে কোনো ধরণের ত্রুটি-বিচ্যুতি পরিলক্ষিত হলে আমি ডিএসসিসি’র নাগরিকদের অনুরোধ করব, আপনারা এই ত্রুটি-বিচ্যুতিগুলো আমাকে জানান। আমি আপনাদেরকে এই বলে আশ্বস্ত করতে চাই, সকল ত্রুটি-বিচ্যুতির বিরুদ্ধে আমার কঠিনতম অবস্থান বজায় থাকবে।

ডিএসসিসি মেয়র বলেন, সমন্বিত কার্যক্রমের অংশ হিসেবে আজ আমরা ডিএসসিসির আওতাধীন ১০টি অঞ্চলের ১০টি জলাশয় পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম শুরু করছি। পর্যায়ক্রমে এই কার্যক্রম প্রতিটি ওয়ার্ডে বছরব্যাপী পরিচালনা করা হবে। এর মাধ্যমে আমরা মশার প্রজনন এবং বিস্তার রোধ করতে করব।

রোববার খিলগাঁও এর বটতলা ঝিল পরিস্কার কার্যক্রম উদ্বোধনকালে ডিএসসিসি মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস একথা বলেন। মেয়র পরবর্তীতে রমনা পার্কে আলাদা আরেকটি অনুষ্ঠানে অংশ নেন এবং সেখানেও তিনি দুর্নীতি এবং অবহেলার বিরুদ্ধে আবারও সতর্কবাণী উচ্চারণ করেন।

পরে তিনি রমনা পার্কে হাঁস অবমুক্ত করেন। এ সময় গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব শহীদ উল্লাহ খন্দকার, ডিএসসিসি’র প্রধান নিবার্হী কর্মকর্তা শাহ মোঃ ইমদাদুল হক, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শরীফ আহমেদ, সচিব আকরামুজ্জামান এবং স্থানীয় কাউন্সিলররা উপস্থিত ছিলেন।

এ সময় ব্যারিষ্টার তাপস বলেন, আগামী রোববার থেকে আমরা নর্দমা পরিস্কার কার্যক্রম শুরু করব। এই কার্যক্রম পরবর্তী সময়ের আমরা মাছ চাষ বিশেষত তেলাপিয়া মাছ এবং জলাশয়গুলোতে হাঁস অবমুক্ত করব। যাতে করে সে সকল জলাশয়ে মশার লার্ভা ধ্বংস এবং পানির প্রবাহ নিয়মিত থাকে। বটতলা ঝিলের পরিস্কার কার্যক্রমের উদ্বোধনের পর তিনি সেখানে মাছ অবমুক্ত করেন।

তিনি বলেন, শুধুমাত্র ঢাকা দক্ষিণ সিটির সংশ্লিষ্ট ডিপার্টমেন্টগুলোর মধ্যে প্রয়োজনীয় সমন্বয়ের অভাবেই মশার যন্ত্রণা, জলাবদ্ধতা, বর্জ্য সংগ্রহে অপ্রতুলতা এবং এ রকম আরও অনেকগুলো গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুর পরিপূর্ণ সমাধান হয়নি। আমি সংশ্লিষ্ট ডিপার্টমেন্টগুলোকে নতুন করে কর্ম পরিকল্পনা ঢেলে সাজাতে এবং সে মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশনা প্রদান করেছি। সে অনুয়ায়ি আমরা বছরব্যাপী সমন্বিত মশক নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম শুরু করেছি। সম্পাদনা : খালিদ আহমেদ