এই ভাইরাসে সংক্রমিতদের সবচেয়ে বেশি সমস্যা হয় ফুসফুসে। এই সময়টাতে প্রয়োজন পরে পালস অক্সিমিটারের। পালস অক্সিমিটারের কি ও কার্যকারিতা জানিয়েছেন কুয়েত মৈত্রি হাসপাতালের কোভিড চিকিৎসায় নিয়োজিত ডা. তাপস মন্ডল।
ডা. তাপস বলেন, পালস অক্সিমিটার হলো একটি বহনযোগ্য মেডিকেল ডিভাইস, যা দিয়ে মানুষের দেহে রক্তের অক্সিজেন সম্পৃক্ততা (সেচুরেশন) এবং পালস মাপা হয়। [৪] ব্যবহারের বিষয়ে ডা. মন্ডল বলেন, এর ব্যবহার অত্যন্ত সহজ। ক্লিপের মতো অংশটুকুর মধ্যে আঙ্গুল ঢুকিয়ে দেওয়া হয়। তারপর নির্দিষ্ট বাটনে চাপ দিয়ে অন করলে মনিটরে পালস এবং অক্সিজেন সেচুরেসন ভেসে উঠে।
কার্যকারিতার বিষয়ে তিনি বলেন, এটি অন করলে একটি আলো আঙ্গুলের ভেতর দিয়ে প্রবাহিত হয়। মূলত এই প্রবাহমান আলো দিয়েই রক্তে অক্সিজেনের সম্পৃক্ততা নির্ণয় করা হয়। একই সাথে হার্ট রেট বা পালস নির্ণয় করতে পারে।
ডা. তাপস বলেন, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত বা উপসর্গ রয়েছে এমন মানুষদের জন্য পালস অক্সিমিটার সাহায্যকারী যন্ত্র। রক্তের অক্সিজেন সেচুরেসন দেখে রোগির পরবর্তী করণীয় ঠিক করা যায়।
তাপস বলেন, ৯৭ থেকে ১০০ শতাংশ অক্সিজেন মাত্রাকে স্বাভাবিক হিসেবে ধরা হয়। [৮] ডা. তাপস বলেন, শুধুমাত্র অক্সিজেন সেচুরেসন দিয়ে হাইপোক্সিমিয়া বলা যায় না। হাইপোক্সিমিয়ার আরও কয়েকটি নিয়ামক আছে। তারপরও পালস অক্সিমিটারে অক্সিজেনের মাত্রা ৯৫ শতাংশের কমে গেলে রক্তে অক্সিজেনের ঘাটতি (হাইপোক্সিমিয়া) আছে বলে ধরা হয়।
ডা. মন্ডল বলেন, অক্সিমিটার বুড়ো বা মধ্যমায় আঙ্গুলে ব্যাবহার করা ভাল।