১৮ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, রাত ৯:১১
শিরোনাম:

পল্লী বিদ্যুতের ভূতরে বিলে দিশেহারা ১৫ হাজার গ্রাহক!

একদিকে করোনা ভাইরাস অন্যদিকে পল্লী বিদ্যুতের ভূতরে বিলে পিরোজপুর কাউখালী উপজেলার ১৫ হাজার পল্লী বিদ্যুৎ গ্রাহকের অনেই দিশেহারা। মিটারের রিডিং সাথে এবং বিদ্যুৎ বিলের সাথে মিল না থাকায় গ্রহকরা প্রতারিত হচ্ছে।

গ্রহকরা জানান, এজেন মরার উপর খরার গা। উপজেলার উত্তর বাজার স্টেশন রোডের মোঃ ছিদ্দিকুর রহমানের মিটারের রিডিংও বিল পর্যালোচনা করে দেখা যায় যে, প্রথম ধাপে ১ হইতে ৫০ ইউনিট দর ৩.৮৫ টাকা। দ্বিতীয় ধাপে ১ হইত ৭৫ ইউনিট দর ৪.১১ টাকা। তৃতীয় ধাপে, ৭৬ হইত ২০০ ইউনিট ৫.৭২টাকা।

গত ফেব্রুয়ারি মাসের মিটারে দেখা যায় বিদ্যুৎ বিল সঠিক রয়েছে। এর পরে মার্চ মাস থেকে গ্রাহক ৫০ ইউনিট বিদ্যুৎ ব্যবহার করলেও বিল দেখানো হয়েছে ১০ ইউনিটের। এপ্রিল মাসে একই পরিমাণ বিদ্যুৎ ব্যবহার করলেও ১৫ ইউনিট বিদ্যুতের বিল দেখানো হয়েছে। দুই মাসের বিল অর্থাৎ মার্চ ও এপ্রিল মাসের মিটারে থাকা অবশিষ্ট বিল একত্র করে ১৩৫ ইউনিট দেখানো হয়েছে মে মাসে।

এতে করে গ্রাহক প্রথম ধাপের বিদ্যুতের ইউনিট ৩.৮৫ টাকা পরিবর্তে গ্রহকদের ৫.৭২ টাকা করে বিদ্যুৎ বিল তৈরি করে গ্রাহক পর্যায় পাঠানো হয়। গ্রাহকরা প্রতি ইউনিটে ১.৮৭ টাকা করে অতিরিক্ত বিল পরিশোধ করতে হয়েছে।

গ্রাহকরা জানান, এই সকল পল্লী বিদ্যুতের কার্যক্রমে প্রতারিত হচ্ছে তারা। গ্রাহকদের দাবী প্রতি মাসে যতটুকু বিদ্যুৎ তারা ব্যবহার করেছে, সঠিক ভাবে ততটুক ইউনিটের বিল তৈরি করলে গ্রহকরা এই অতিরিক্ত ইউনিট প্রতি ১.৮৭ টাকা পরিশোধ করতে হত না। কেননা ৫০ ইউনিটের মধ্যে থাকলে এভাবে তারা প্রতারিত হতো না। এভাবে উপজেলার অধিকাংশ গ্রহকের বিদ্যুতের বিল বেশী হওয়ায় তারা হয়রানীর স্বীকার ও অতিরিক্তি টাকা করতে হচ্ছে বলে অনেকেই অভিযোগ করেন।

এব্যপারে পল্লী বিদ্যু সমিতির এ,জি, এম (অর্থ) মোঃ রাজু আহম্মেদ জানান, করোনার কারনে মিটার রির্ডার অনেকেই মাঠ পর্যায় পরিদর্শন না করে, বিল করায় কিছু ভুল ত্রুটি হতে পারে, তবে ৫০ ইউনিটের ব্যবহার কারি গ্রাহকের ১০ বা ১৫ ইউনিট বিল করা এটা আমার বোধগম্য নয়, না জেনে কিছু মন্তব্য করা যাবে না। বিষয়টি তদন্ত করে দেখতে হবে।