১৮ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, রাত ৮:৫৫
শিরোনাম:

কোভিড-১৯ : দেশে আরো ৩৮ জনের মৃত্যু, শনাক্ত ৩০৯৯, মোট সুস্থ ৩৪০২৭ (ভিডিও)

সোমবার (১৫ জুন) দুপুর আড়াইটার দিকে কোভিড-১৯ সংক্রান্ত নিয়মিত অনলাইন স্বাস্থ্য বুলেটিনে এ তথ্য জানান স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (মহাপরিচালকের দায়িত্বপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা।

তিনি জানান, কোভিড-১৯ এ মোট মারা গেছেন ১২০৯ জন। মোট আক্রান্ত হয়েছেন ৯০৬১৯ জন। মৃতদের মধ্যে পুরুষ ৩২ জন ও নারী ৬ জন। ঢাকা বিভাগে ১৮ জন এবং অন্যান্য বিভাগের ২০ জন।  হাসপাতালে মারা গেছেন ২৫ জন বাসায় ১১ এবং মৃত অবস্থায় হাসপাতালে গেছেন ২ জন। বয়স ভিত্তিক বিশ্লেষণে ৭১ থেকে ৮০ বছরের মধ্যে ৫ জন, ৬১ থেকে ৭০ বছরের মধ্যে ১৫ জন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে ৫ জন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে ৭ জন, ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে ৩ জন, ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে ৩ জন।

তিনি জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় মোট ১৫৭৩৩ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। এর মধ্যে পরীক্ষা করা হয়েছে ১৫০৩৮ জনের। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত মোট নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৫ লাখ ১৯ হাজার ৫০৩ জনের। নমুনা বিবেচনায় শনাক্তের হার ২০ দশমিক ৬১ শতাংশ।

এছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা জয় করে সুস্থ হয়ে ফিরেছেন অনেক মানুষ। যাদের মধ্যে হাসপাতালে থাকা এবং বাড়িতে থেকে চিকিৎসা নেয়া উভয় ধরনের মানুুষ রয়েছেন। সব মিলিয়ে এ পর্যন্ত ৩৪০২৭ জন সুস্থ হয়েছেন বলে জানান ডা. নাসিমা সুলতানা। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৩৭ দশমিক ৫৫ শতাংশ এবং মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৩৩ শতাংশ।

ডা. নাসিমা সুলতানা জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশনের নেওয়া হয়েছে ৫৩৬ জনকে। বর্তমানে আইসোলেশনের আছেন ১৫ হাজার ৮৪৪ জন। এছাড়া আইসোলেশন থেকে ছাড় পেয়েছেন ২৯৫ জন, এ পর্যন্ত মোট ছাড় পেয়েছেন ৫ হাজার ৫১৮ জন। বর্তমানে মোট আইসোলেশনে আছেন ১০ হাজার ২৬ জন।

এর আগে রোববার করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছিল ৩ হাজার ১৪১ জন, মারা যায় ৪৪ জন। আগের দিন শনিবার আক্রান্ত হয়েছিল ২ হাজার ৮৫৬ জন, মারা যায় ৪৪ জন। তার আগের দিন শুক্রবার করোনায় আক্রান্ত হয় ৩ হাজার ৪৭১ জন, মৃত্যু হয় ৪৬ জনের।

দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রথম শনাক্ত হয় গত ৮ মার্চ। আর গত ১৮ মার্চ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রথম একজনের মৃত্যু হয়। এরপর থেকে দিনে দিনে এর সংক্রমণ ও মৃত্যুর সংখ্যা বেড়েছে।