১৮ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, রাত ৯:২৯
শিরোনাম:

সুনির্দিষ্ট ম্যাপিং পেলে সেই এলাকা লকডাউন হবে : মেয়র আতিকুল

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেছেন, ডিএনসিসির আওতাধীন যে ১৭টি এলাকা রেড জোন হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে, সেগুলোর সুনির্দিষ্ট ম্যাপিং পাওয়ার পর ৪৮ থেকে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে লকডাউন কার্যকর করা যাবে। সামনে ১৭টি এলাকায় লকডাউন হতে যাচ্ছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও অধিদফতরের সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। আমি বলেছি যতো দ্রুত আমাদের ম্যাপ দেয়া হবে ততো দ্রুত ব্যবস্থা নেবো। অনেক বড় বড় এলাকার কথা উল্লেখ করা হয়েছে।

তিনি আরো বলেন, আমরা চাচ্ছি যতো কনফাইন করে আমাদের দেয়া যাবে ততো আমাদের ম্যানেজ করতে সু্বধিা হবে। রেড জোনিং একটা হিউজ ম্যানেজমেন্ট। কাউন্সিলর, রাজনৈতিক ব্যক্তি, সামাজিক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত সবাইকে মিলে কিন্তু কাজ করতে হয়।

সোমবার ডিএনসিসি নগর ভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন। তিনি আরও বলেন, পূর্ব রাজাবাজারে স্বেচ্ছাসেবকরা কাজ করছে। আমাদের স্বেচ্ছাসেবকও জোগাড় করতে হবে। আমি স্বাস্থ্য অধিদপ্তরকে বলেছি, আমাকে রিমার্কেশন করে দিতে হবে। কোন বাড়ি, কোন লেন, কোন মহল্লা বা কোন ওয়ার্ডে রেড জোন হবে তা রিমার্কেশন করে দিতে হবে। অসহায় যেসব পরিবার আছে তাদের তালিকা করতে হবে। যাদের পয়সা আছে, খাদ্য কিনতে পারবে তাদের জন্য ভ্যানের পরিকল্পনা করতে হবে।

আতিকুল ইসলাম বলেন, যে ১৭ ওয়ার্ড লকডাউন করা হবে সে বিষয়ে খবর পেয়েছি। কিন্তু আমরা ওই প্রজ্ঞাপন চাচ্ছি কীভাবে কোথায় এটা করব সেটি চিহ্নিত করে দিতে হবে। ম্যাপিং হাতে আসলে টেলিভিশনে স্ক্রল প্রচার, স্থানীয় মসজিদে মাইকিং, সামাজিক ও রাজনৈতিক সংগঠন নিয়ে কাজ করতে হবে, নমুনা সংগ্রহের বুথ খুলতে হবে, হোম কোয়ারেন্টাইন-আইসোলেশন কেন্দ্র ও টেলিমেডিসিন সেবা কোন জায়গা থেকে দেব সেটার ব্যবস্থা করতে হবে।

লকডাউন এলাকায় মৃতদেহ সৎকার, রোগী পরিবহন, হাসপাতাল-মুদি দোকান-ফার্মেসি-রেস্তোরাঁ চায়ের দোকান-বাজারের কী অ্যাকশন হবে তা ঠিক করা হয়েছে। আমাদের ম্যাপিং দিলে সর্বোচ্চ ৪৮ থেকে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে লকডাউন করতে পারবো।