৫ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, সন্ধ্যা ৭:২৫
শিরোনাম:

বিশ্বজুড়ে কোভিড চিকিৎসায় ডেক্সামেথাসোনের জয়জয়কার, প্রশংসা করল ‘হু

বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা ‘হু’ বলছে কোভিডের চিকিৎসায় ডেক্সামেথাসোন ‘ব্রেকথ্রু’। আন্তর্জাতিক মিডিয়া ওষুধটিকে ‘বিগেস্ট ব্রেকথ্রু’, ‘মিরাকেল’, ‘গ্রাউন্ড ব্রেকিং’ নানা অভিধায় অভিসিক্ত করছে। ব্রিটেন, যুক্তরাষ্ট্র থেকে শুরু করে সব দেশেই ওষুধটি নিয়ে আশাজাগানিয়া সংবাদ প্রকাশ পেয়েছে। সিএনএন/ডেইলি মেইল/স্পুটনিক

‘হু’র ডিরেক্টর জেনারেল টেড্রোস অ্যাডহানম গেব্রেইয়েসুস ওষুধটিকে সহজলভ্য ও কার্যকর অভিহিত করে বলেছেন গুরুতর সংকটজনক কোভিড রোগীর চিকিৎসায় এটি ব্যবহারে ভাল ফল পাওয়া গেছে।

বাংলাদেশে কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসায় যে নির্দেশিকা প্রণয়ন করা হয়েছে, সেখানে ডেক্সামেথাসন গোত্রভুক্ত ওষুধ ওরাডেক্সন ও মিথাইল প্রেডনিসোলোন ব্যবহার হচ্ছে। বড় ওষুধ উৎপাদনকারী প্রায় প্রতিটি প্রতিষ্ঠানই এ ওষুধটি তৈরি করছে বহু বছর ধরে। ব্রিটেনেও কোভিড রোগীর চিকিৎসার তালিকায় এ ওষুধটি রয়েছে।

দেশের ৩০টি ওষুধ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের দামের হেরফেরে দেখা গেছে, ডেক্সামেথাসন মুখে খাওয়ার ওষুধের দাম সর্বনিম্ন দাম ৬০ পয়সা থেকে এক টাকা ১৫ পয়সা পর্যন্ত। ইনজেকশনের দাম সর্বনিম্ন ১৫ টাকা থেকে ৩০ টাকা।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ব্যক্তিগত চিকিৎসক এ বি এম আবদুল্লাহ বলেছেন, ডেক্সামেথাসন একটি স্টেরয়েড ওষুধ। তীব্র শ্বাসকষ্ট রয়েছে এমন রোগীদের জন্যে এই ওষুধটি বেশ ভালোই কাজ করে। তবে এটি চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া কোনো ভাবেই ব্যবহার করা উচিত হবে না।

মৃদু উপসর্গের কোভিড রোগীদের জন্যে ডেক্সামেথাসোন খুব একটা কার্যকর নয়। যাদের তীব্র শ্বাসকষ্টের সমস্যা, তাদের ক্ষেত্রে ডেক্সামেথাসোন প্রয়োজন।

সিএনএন’র প্রতিবেদনে বলা হয় ডেক্সামেথাসোন নিয়ে অনুসন্ধানগুলো প্রাথমিক, গবেষণার সঙ্গে যারা জড়িত নন তারা এ ওষুধের ফলাফলকে যুগান্তকারী বলছেন। শীর্ষ মেডিকল জার্নালগুলোতে এটি নিয়ে এখনো গবেষণালব্ধ পর্যালোচনা প্রকাশ হয়নি।