১৯শে মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, রাত ২:৫৩
শিরোনাম:

পুরো দেশকে লকডাউন করতে পারি না: স্থানীয় সরকার মন্ত্রী

সামাজিকভাবে এগিয়ে আসুন: ঢাকা উত্তরের মেয়র আতিকুল

স্থানীয় সরকারমন্ত্রী তাজুল ইসলাম বলেছেন, সংক্রমণের হার নিরুপণপূর্বক এলাকাভিত্তিক ক্লাস্টার করে লকডাউন করাটাই সবচেয়ে উপযোগী। এ বিষয়ে সিটি করপোরেশনের সাথে সরকারের বিভিন্ন সংস্থা একযোগে কাজ করছে। ডিএনসিসিতে মেয়র সার্বক্ষণিক তদারকি করছেন, তার কাউন্সিলরগণও নিবেদিতপ্রাণ, আমি নিজেও সার্বিক বিষয় নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করছি।

বুধবার পরীক্ষামূলকভাবে চলমান লকডাউনকৃত এলাকা পূর্ব রাজাবাজার পরিদর্শনে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী তাজুল ইসলাম ও ডিএনসিসির মেয়র আতিকুল ইসলাম একথা বলেন। পরিদর্শনকালে স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর ফরিদুর রহমান ইরান উপস্থিত ছিলেন।

মন্ত্রী আরও বলেন, মেয়রের নির্দেশে এখানে স্ট্যান্ডবাই একটি অ্যাম্বুলেন্স রাখা হয়েছে যেকোন ইমারজেন্সির জন্য। রাজাবাজার আমাদের অন্যান্য নতুন লকডাউন এলাকার জন্য এক্সাম্পল হিসাবে কাজ করবে। যারা ক্রয় করতে পারছেন না, দরিদ্র মানুষ, তাদেরকে বিনামূল্যে খাদ্যদ্রব্য দেয়া হচ্ছে সরকারের পক্ষ থেকে। আর যারা স্বচ্ছল পরিবার তাদেরকে চাহিদা অনুযায়ী খাবার ক্রয় করে হোমডেলিভারি দেয়া হচ্ছে।

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেছেন, আমরা টেকনিক্যাল কমিটিকে বলেছি, নতুন যে জোনিং করা হচ্ছে, সেটি কীভাবে আরও সুনির্দিষ্ট করা যায়, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সে বিষয়ে কাজ করছে। আমরা আশাবাদী, তবে এই মুহুর্তে আমাদের দরকার, সামাজিকভাবে সবাইকে এগিয়ে আসা। সাধারণ জনগণ যখন এগিয়ে আসবে, এলাকবাসী যখন নিজেদের এলাকাকে নিরাপদ রাখতে সহায়তা করবে, তখনই আমরা সফল হবো।

তিনি আরো বলেন, আমাদের কাউন্সিলর, সেনাবাহিনী, পুলিশ, সিটি কর্পোরেশন সবাই একযোগে কাজ করছি। আমি বিশ্বাস করি, আমরা পরবর্তীতেও যেসকল এলাকা লকডাউন করবো, সেসব এলাকার জনগণ যদি আমাদের নির্দেশনা মেনে চলে, আমাদের সহায়তা করে তবে, আমরা নিজেরা রক্ষা পাব, জনগণ রক্ষা পাবে, রক্ষা পাবে পুরো বাংলাদেশ। সম্পাদনা: ইকবাল খান