৫ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, সকাল ১০:০৫
শিরোনাম:

অগ্নিকাণ্ডে ইউনাইটেডের গাফিলতি, চারজনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

রাজধানীর গুলশানের ইউনাইটেড হাসপাতালের করোনা ইউনিটে অগ্নিকাণ্ডে পাঁচজনের মৃত্যুর ঘটনায় কর্তৃপক্ষের গাফিলতির প্রমাণ পেয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। এজন্য হাসপাতালটির চেয়ারম্যান-এমডিসহ চারজনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে। বিমানবন্দর ইমিগ্রেশন পুলিশকে ইতিমধ্যে এ বিষয়ে চিঠি দিয়েছে পুলিশ।

যাদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে তারা হলেন- ইউনাইটেডের চেয়ারম্যান মো. হাসান মাহমুদ রাজা, ম্যানেজিং ডিরেক্টর মো. ফরিদুর রহমান খান, সিইও মোহাম্মদ ফাইজুর রহমান এবং চিফ ক্লিনিক্যাল গভার্নেন্সের ডিরেক্টর ডা. আবু সাঈদ এমএম রহমান।

বুধবার রাতে ঢাকা টাইমসকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন ডিএমপির গুলশান বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) সুদীপ কুমার চক্রবর্তী।

এর আগে গত ২৭ মে রাতে ইউনাইটেড হাসপাতালের করোনা ইউনিটে আগুনের ঘটনায় পাঁচজন দগ্ধ হয়ে মারা যান। একই রাতে গুলশান থানায় অপমৃত্যু মামলা করে ইউনাইটেড হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। পরদিন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম হাসপাতালটি পরিদর্শন যান। তখন তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের সকল ব্যবস্থা সিটি করপোরেশন থেকে করা হবে। এরই মধ্যে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ- সিআইডি আলামত সংগ্রহ করছে। তদন্তে কারএ গাফলতি পাওয়া গেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

আগুনে পুড়ে মৃত ব্যক্তিদের পরিবারের কেউ থানায় অভিযোগ না করায় চারজনের পরিবারের কাছে লাশ হস্তান্তর করে পুলিশ। আর একজনের করোনা পজিটিভ থাকায় তার দাফন-কাফনের ব্যবস্থা করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

আগুনে দগ্ধ হয়ে নিহতরা হলেন- মোহাম্মদ মাহবুব, মনির হোসেন, ভেরন অ্যান্থনি পল, খোদেজা বেগম ও রিয়াজ উল আলম। গত ৪ জুন নিহত অ্যান্থনি ভের্নন পলের মেয়ের জামাই রোনাল্ড মিকি গোমেজ ইউনাইটেড হাসপাতালের চেয়ারম্যান, এমডি, সিইও, পরিচালক, করোনা ইউনিটে সেসময় কর্মরত ডাক্তার-নার্স, সেফটি ও সিকিউরিটি কর্মকর্তাদের আসামি করে একটি মামলা করেন। সেই মামলায় হাসপাতালের চারজনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দিল পুলিশ।

ডিসি সুদীপ কুমার চক্রবর্তী ঢাকা টাইমসকে বলেন, ‘আগুনের ঘটনায় পুলিশ এবং ফায়ার সার্ভিসের পক্ষ থেকে যে তদন্ত করা হয়েছে তাতে হাসপাতালের দোষ পাওয়া গেছে। তাই তাদের চারজনকে দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে। এরইমধ্যে বিমানাবন্দরে চিঠি পৌঁছে দেয়া হয়েছে।’