১৩ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, সকাল ৬:০৮
শিরোনাম:

সব বয়সীদের ডিপ্লোমা কোর্সে ভর্তির সুযোগ

কারিগরি শিক্ষায় ভর্তির হার বৃদ্ধি এবং বিদেশফেরত দক্ষ কর্মীদের প্রাতিষ্ঠানিক স্বীকৃতি দেয়ার লক্ষ্যে পলিটেকনিক ইন্সটিটিউটে ডিপ্লোমা কোর্সে ভর্তির ক্ষেত্রে কোনো রকমের বয়সের সীমাবদ্ধতা থাকছে না।

বুধবার কারিগরি শিক্ষার উন্নয়ন সংক্রান্ত এক ভার্চুয়াল সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়েছে। কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব মুনশী শাহাবুদ্দীনের সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি এমপি।

আরও যুক্ত ছিলেন শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী এমপি, মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক সফিউদ্দিন আহমেদ, কারিগরি শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক সানোয়ার হোসেন, মাদ্রাসা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর কায়সার আহমেদ ও কারিগরি বোর্ডের চেয়ারম্যান ড. মুরাদ হোসেন মোল্লা।

সভায় শিক্ষামন্ত্রী বলেন, অনেক ব্যক্তির হয়তো প্রয়োজনীয় কারিগরি দক্ষতা আছে; কিন্তু তার প্রাতিষ্ঠানিক কোনো সার্টিফিকেট নেই এবং সার্টিফিকেট না থাকার কারণে ভালো চাকরি পাচ্ছে না।

অথবা চাকরি পেলেও ভালো বেতন পাচ্ছে না। সে ক্ষেত্রে সে ব্যক্তি যদি চায় এবং তার প্রয়োজনীয় একাডেমিক যোগ্যতা থাকে তাহলে সে ডিপ্লোমা কোর্সে ভর্তি হতে পারবে। এদিকে নতুন এ সিদ্ধান্ত নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে এ খাতের সংশ্লিষ্টদের মধ্যে। অনেকে বলেছেন, এতে তেমন একটা ফল আসবে না।

ভর্তি বৃদ্ধি করতে সমস্যার মূলে হাত দিতে হবে। কারিকুলাম আধুনিকায়ন, কোর্স মেয়াদ সংস্কার, দক্ষ শিক্ষক নিয়োগ করতে হবে। টেকনিক্যাল এডুকেশন কনসোর্টিয়াম অব বাংলাদেশের (টেকবিডি) সভাপতি প্রকৌশলী আবদুল আজিজ বলেন, সরকারের এ সিদ্ধান্তকে স্বাগত ও শিক্ষামন্ত্রীকে অভিনন্দন জানাই এ জন্য যে, ভর্তির প্রতিবন্ধকতা নিয়ে চিন্তা শুরু হয়েছে।

তবে বেশি বয়সীরা এলে পরিবেশ আগের মতো নষ্ট হবে। হোস্টেল দখল, নির্যাতন, রাজনীতি ইত্যাদি বেড়ে যাবে। এমন সমস্যার কারণেই বয়সের বাধা তৈরি করা হয়েছিল। তিনি বলেন, ভর্তি বাড়াতে হলে প্রথমেই ৪ বছরের কোর্স ২ বছর করতে হবে। আর এটা এইচএসসি সমমান করতে হবে যেন চাইলে যে কোনো শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে পারে।

অথবা তাদের জন্য ৪ বছর কোর্স ঠিক রেখে ২ বছরের গ্র্যাজুয়েশন রাখা যায়। কিংবা øাতক মর্যাদাসহ ৫ বছরের কোর্স করতে হবে। তাহলে ভর্তি বেড়ে যাবে। কেননা, বর্তমানে একজন শিক্ষার্থীর গ্র্যাজুয়েট হতে এই সিস্টেমে ৮ বছর লাগে। এটাই ভর্তিতে নিরুৎসাহিত করছে।

জানা যায়, সভায় ডিপ্লোমা কোর্সে ভর্তির ক্ষেত্রে ছেলেদের ক্ষেত্রে ন্যূনতম যোগ্যতা জিপিএ-৩.৫ থেকে কমিয়ে ২.৫, মেয়েদের ক্ষেত্রে জিপিএ-৩ থেকে কমিয়ে ২.২৫ করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। পাশাপাশি ডিপ্লোমা কোর্সে ভর্তি ফি ১৮২৫ টাকা থেকে কমিয়ে ১০৯০ টাকা করার বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে। তাছাড়া মন্ত্রী এ মাসের মধ্যে কারিগরি মাদ্রাসা বিভাগের শিক্ষকদের এমপিও-র অর্থ ছাড় করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ প্রদান করেন।

সভায় পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট স্থাপনের নীতিমালা, মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদফতর আইন-২০২০ ও এর নিয়োগবিধি প্রণয়নসহ কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়।