১৩ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, রাত ১২:৪৭
শিরোনাম:

২২ হাজার ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীর ১৮ কোটি আত্মসাৎ করেছে ক্রেস্ট সিকিউরিটি

এছাড়া ৪৪ থেকে ৪৫ জন ব্যক্তির কাছ থেকে মুনাফা প্রদানের শর্তে ৩০ কোটি টাকা ঋণ নিয়ে আত্মসাৎ করে ওই সিকিউরিটি।

মঙ্গলবার সকালে রাজধানীর মিন্টো রোডের ডিএমপির গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি) কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ডিবির অতিরিক্ত কমিশনার মো. আবদুল বাতেন বলেন, সোমবার গোয়েন্দা পুলিশের রমনা বিভাগের একটি টিম অভিযান চালিয়ে করে লহ্মীপুর-নোয়াখালী জেলার সীমান্ত এলাকা থেকে ক্রেস্ট সিকিউরিটি লিমিটেডের চেয়ারম্যান মো. শহিদুল্লাহ ও পরিচালক নিপা সুলতানা নুপুরকে গ্রেপ্তার করে।

আবদুল বাতেন বলেন, ক্রেস্ট সিকিউরিটি লিমিটেড ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের একটি ব্রোকার হাউজ। এই হাউজে প্রায় ২২ হাজার বিও একাউন্টধারী শেয়ার কেনা-বেচা করতেন। গ্রেপ্তারকৃতরা তাদের প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে ২২ হাজার ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীর অগোচরে ১৮ কোটি টাকা অন্য একাউন্টে সরিয়ে নেন। ২২ জুন ব্রোকার হাউজটি বন্ধ করে গ্রাহকের কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করে তারা পালিয়ে যান। ওই ঘটনায় পল্টন থানায় তাদের বিরুদ্ধে ২টি মামলা হয়।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে পাওয়া তথ্যের বরাত দিয়ে অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার বলেন, তাদের প্রতিষ্ঠান ক্রেস্ট সিকিউরিটি লিমিটেডে ২২ হাজার বিও একাউন্টধারীর প্রায় ১০০ কোটি টাকা বিনিয়োগ রয়েছে। ওই টাকার মধ্যে তারা ১৮ কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছেন বলে আমাদের জানিয়েছেন। এছাড়াও ৪৪ থেকে ৪৫ জন ব্যক্তির কাছ থেকে তারা মুনাফা প্রদানের শর্তে ৩০ কোটি টাকা ঋণ গ্রহণ করে আত্মসাৎ করেন। এরপর আত্মগোপন করেন।

আত্মসাৎ করা টাকা বিদেশে পাচার হয়েছে কিনা জানতে চাইলে আবদুল বাতেন বলেন, আমার এই বিষয়ে তদন্ত করে দেখা হবে। তদন্তের স্বার্থে আমরা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এন্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের সাথে যোগাযোগ করবো এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিব। তাদের একাউন্টে কত টাকা আছে, কোথায় কোথায় টাকা পাঠানো হয়েছে সেসব বিষয় আমরা খতিয়ে দেখবো।