৫ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, সকাল ৮:০৬
শিরোনাম:

কুয়েতি জেনারেলের স্বাক্ষরকৃত হাজার হাজার বাংলাদেশির ওয়ার্ক পারমিট বাতিল

 বাংলাদেশের এমপি শহিদুল ইসলাম পাপলুর দুর্নীতি মামলার পর এর সঙ্গে যোগসাজস থাকার কারণে কুয়েতের বেশ কয়েকজন পদস্থ কর্মকর্তাকে আটক করা হয়। এরপর কুয়েতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের এ্যাসিসটেন্ট আন্ডার-সেক্রেটারি মেজর জেনারেল শেখ মাজেন আল জারা স্বাক্ষরিত বাংলাদেশিদের নিয়োগ পত্র বাতিল করা হয়েছে। গালফ নিউজ

কুয়েতে সাড়ে ৩ লাখ বাংলাদেশি কাজ করছেন। এর মধ্যে বেশ কয়েক হাজার এমপি পাপলুর কোম্পানির মাধ্যমে নিয়োগ পেয়েছেন এবং তাদের কতজনের নিয়োগ বাতিল করা হয়েছে সে সম্পর্কে কুয়েত সরকার এখনো সুনির্দিষ্ট করে কিছু জানায়নি। তবে বলা হয়েছে পাপলুর কোম্পানি যেসব অবৈধ নিয়োগ পত্র দিয়েছে এবং যেসব কাগজে জেনারেল শেখ মাজেন স্বাক্ষর দিয়েছেন তা বাতিল বলে গণ্য হবে। আল-কাবাস

২০১৪ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত পাপলুর কোম্পানির মাধ্যমে নিয়োগকৃত বাংলাদেশিদের পাসপোর্ট, ভিসা ও নিয়োগ সংক্রান্ত সবধরনের কাগজপত্র পুঙ্খানুপুঙ্খ রুপে যাচাই বাছাই করা হচ্ছে। কুয়েতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয় এসব বাংলাদেশিদের অন্যান্য কাগজপত্র যাচাইয়ের নির্দেশ দিয়েছে যেগুলো পাপলুর কোম্পানির মাধ্যমে দেশটিতে নিয়োগপত্র পেয়েছে এবং জেনারেল শেখ মাজেন সম্পৃক্ত রয়েছেন।

জেনারেল শেখ মাজেন বেশ কিছু সিরিয় নাগরিককে কুয়েতের ভিসাপত্রে স্বাক্ষর করেন যদিও সিরিয়ার নাগরিকদের আগেই দেশটিতে প্রবেশাধিকার নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

জেনারেল শেখ মাজেনের বিরুদ্ধে এমপি পাপলুর কাছ থেকে ঘুষ নেয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে। একই সঙ্গে একটি ট্রাভেল এজেন্সির এক পরিচালককে আটক করা হয়েছে।

এদিকে এমটি পাপলু দুজন কুয়েতি সংসদ সদস্য সাদাউন হাম্মাদ ও সালা খোরশিদকে ৫ লাখ ৭০ হাজার কুয়েতি দিনার ঘুষ দেয়ার কথা স্বীকার করার পর তাদের গ্রেফতারের অনুমতি চেয়েছে দেশটির বিচারবিভাগ। গত পহেলা জুলাই দুজন কুয়েতি সরকারি কর্মকর্তাকে আটক করা হয়। এ নিয়ে এ ঘটনায় ১০ জন কুয়েতি কর্মকর্তাকে আটক করা হয়েছে।