৩রা মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, সকাল ১১:১৬
শিরোনাম:

সাবরিনাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আবারো রিমান্ড চাইবে পুলিশ

করোনা পরীক্ষা নিয়ে প্রতারণার বিষয়ে রিমান্ডে পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে জোবেদা খাতুন সর্বজনীন স্বাস্থ্যসেবার (জেকেজি হেলথকেয়ার) চেয়ারম্যান ও জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটের চিকিৎসক (বরখাস্ত) ডা. সাবরিনা চৌধুরী এবং তার স্বামী (প্রতিষ্ঠানের নির্বাহী) আরিফ চৌধুরী একে অপরকে দোষারোপ করছেন। তবে পরীক্ষার নামে প্রতারণার কথা স্বীকার করছেন তারা।

তদন্ত সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, আরিফ সাবরিনার কারণে এই প্রতারণায় জড়িত হয়েছেন বলে দাবি করলেও সাবরিনার দাবি, জেকেজি ও ওভাল গ্রুপের অনেকেই এই অপকর্মের সঙ্গে যুক্ত। আরিফ চৌধুরীর এই কর্মকান্ড এবং ব্যক্তিগত হয়রানির কারণে তিনি তাকে ডিভোর্সও দিয়েছেন। জেকেজির সব জালিয়াতি সম্পর্কে সাবরিনা জানতেন এবং জালিয়াতির অর্থ থেকে তিনি সুবিধাও নিয়েছেন। মূলত আরিফ চৌধুরীর সঙ্গে স্বাস্থ্য অধিদফতরের সবার সঙ্গে যোগাযোগ করিয়ে দেওয়া থেকে শুরু করে বিভিন্ন কাজ পাইয়ে দিতে সহযোগিতা করতেন।

এদিকে বৃহস্পতিবার সাবরিনা আরিফ চৌধুরীর ৩ দিনের রিমান্ড শেষ হয়েছে। শুক্রবার আদালতে নিয়ে আবারো রিমান্ডের আবেদন করা হবে। করোনার ভুয়া রিপোর্ট দেয়ার অভিযোগে করা মামলায় গত রোববার গ্রেপ্তার করা হয় ডা. সাবরিনাকে। পরদিন সোমবার তার তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।

এ দুজনকে মুখোমুখি জিজ্ঞাসাবাদের সময় ডিবি কার্যালয়ে আরিফকে দেখে খেপে উঠেছিলেন সাবরিনা। বলেছেন, আরিফের জন্যই আজ তার এই অবস্থা। জিজ্ঞাসাবাদে আরিফ জানিয়েছেন জালিয়াতির বিষয়ে তার স্ত্রী সাবরিনাও সবকিছু জানতেন।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গোয়েন্দা (তেজগাঁও) বিভাগের উপ-কমিশনার গোলাম মোস্তফা রাসেল বলেন, ভুয়া রিপোর্টের ক্ষেত্রে আরিফ বা সাবরিনা কার কতটুকু ভূমিকা ছিল তা নিরূপণ করার চেষ্টা করছি। তদন্ত শেষে এ বিষয়ে পরিষ্কার হওয়া যাবে। খুব দ্রুত এই তদন্ত সম্পন্ন করে আদালতে অভিযোগপত্র দেওয়া হবে।

তদন্ত সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, জেকেজি সাধারণ মানুষের কাছ থেকে অর্থের বিনিময়ে করোনাভাইরাস পরীক্ষার জন্য নমুনা সংগ্রহ করতো। এসব নমুনা পরীক্ষা না করে তা ড্রেনে ফেলে দেওয়া হতো। পরে রোগীর লক্ষণ দেখে ভুয়া সনদ দেওয়া হতো। জিজ্ঞাসাবাদে আরিফ চৌধুরী নিজেও এসব বিষয় স্বীকার করেছেন। এছাড়া জেকেজির একজন কর্মচারী আদালতে দেওয়া স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতেও এসব তথ্য জানিয়েছে।