৩রা মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, সন্ধ্যা ৭:৩২
শিরোনাম:

প্রাথমিক পরীক্ষায় নিরাপদ প্রমাণিত হয়েছে অক্সফোর্ডের টিকা: দ্য ল্যানসেট

সোমবার আন্তর্জাতিক মেডিক্যাল জার্নাল দ্য ল্যানসেট জানায়, প্রথম পর্যায়ে ১ হাজার ৭৭ জন স্বাস্থ্যবান প্রাপ্তবয়স্কের ওপর পরীক্ষা করে প্রমাণিত হয়েছে, অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় এবং ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানি অ্যাস্ট্রাজেনেকার যৌথ উদ্যোগে তৈরি টিকা ‘সিএইএডিওএক্স১ এন কোভিড-১৯’ নিরাপদ এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা সৃষ্টি করতে সক্ষম। এটি টি-সেল বা সাদা রক্তকণিকা উৎপন্ন করে করোনার বিরুদ্ধে লড়াই করে। দ্য গার্ডিয়ান

ল্যানসেটের বরাত দিয়ে বিবিসি বলেছে, প্রথম ডোজ টিকা প্রয়োগের ১৪ দিনের মধ্যে টি- সেল উৎপন্ন হয় এবং ২৮ দিনের মধ্যে শরীরে অ্যান্টিবডি বা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি হয়। এই টিকার কোনো ক্ষতিকর প্রভাব দেখা যায় নি। তবে ৭০ শতাংশের হালকা জ্বর বা মাথাব্যাথা দেখা দিয়েছে। গবেষকরা বলেছেন, এটি প্যারাসিট্যামলে সেরে যাবে।

এই গবেষণায় নেতৃত্বদানকারী অধ্যাপক সারাহ গিলবার্ট বলেছেন, ‘ আমাদের এই টিকা কোভিড-১৯ পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে পারবে কি না এটি নিশ্চিত হওয়ার জন্য আরো অনেক কাজ করার বাকি রয়েছে। তবে প্রাথমিক পর্যায়ের এই ফলাফল আশা যুগিয়েছে।’ তিনি আরো বলেন, ‘আমরা এখন তৃতীয় পর্যায়ের পরীক্ষা চালাচ্ছি। আমাদের এখনো এই ভাইরাসের প্রকৃতি সম্পর্কে অনেক কিছু জানতে হবে। কারণ আমরা এখনো জানি না সার্স- কোভিড-২ সংক্রমণ থেকে সুরক্ষা দেয়ার জন্য রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কতটা শক্তিশালী হওয়া প্রয়োজন। সার্স- কোভিড-২ এর সংক্রমণ প্রতিরোধ, নিয়ন্ত্রণ এবং মৃত্যুহ্রাসে সফল টিকাই কাজে লাগবে। এবং উচ্চ ঝুঁকিতে থাকা হাসপাতালের কর্মী এবং বয়স্করা টিকার প্রয়োগের ক্ষেত্রে প্রাধান্য পাবেন।’

অক্সফোর্ডের বিজ্ঞানীরা বলেছেন, সেপ্টেম্বরের মধ্যেই টিকা হাতে পাওয়া যাবে।

গত এপ্রিল থেকেই এই টিকার মানবদেহে পরীক্ষা শুরু হয়। বিজ্ঞানী এলিসা গ্রানাটোসহ আরো এক ব্যক্তির শরীরে এটি প্রথমবারের মতো প্রয়োগ করা হয়। এরপর প্রথম পর্যায়ে স্বল্প সংখ্যক স্বেচ্ছাসেবীর শরীরে প্রয়োগের পর দ্বিতীয় পর্যায়ে এক হাজারের বেশি স্বেচ্ছাসেবীকে ভ্যাকসিন দেওয়া হয়। দুইটিরই ফলাফল ইতিবাচক ছিলো বলে জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। সাফল্য আসায় চালানো হয় তৃতীয় পর্যায়ের পরীক্ষা। এটি চলছে ব্রিটেন ব্রাজিল ও দক্ষিণ আফ্রিকায়।