৩রা মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, সকাল ১১:৫০
শিরোনাম:

কক্সবাজারে মা-মেয়েকে নির্যাতন : তদন্তে গাফিলতি হলে হস্তক্ষেপ করবে হাইকোর্ট

কক্সবাজারে গরু চুরির অভিযোগে মা- মেয়েসহ একই পরিবারের ৫ জনকে রশি দিয়ে বেঁধে নির্যাতন তদন্তে গাফিলতি হলে হস্তক্ষেপ করবে হাইকোর্ট। সোমবার (২৪ আগস্ট) এ আদেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। সময় ও যমুনা টিভি

এর আগে কক্সবাজারে চার সন্তানসহ মাকে বেঁধে ৭ কিলোমিটার সড়ক ঘোরানোর পর উল্টো গরু চুরির মামলা দেয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। ওই মামলায় কারাগারে পাঠানো হয়েছে পাঁচ জনকেই। তবে নির্যাতনের ঘটনায় কাউকেই আটক করতে পারেনি পুলিশ।

এদিকে রশি বেঁধে সড়কে ঘোরানোর ছবি সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হওয়ার পর ঘটনা তদন্তে ৩ সদস্যের কমিটি গঠন করেছে চকরিয়া উপজেলা প্রশাসন।

কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার হারবাংয়ে গরু চুরি করে সিএনজিচালিত অটোরিকশায় তুলে নিয়ে যাওয়ার সময় আটকের পর তিন নারীসহ পাঁচ জনকে পিটিয়ে পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়। তবে এ সময় মা ও মেয়েকে কোমরে রশি বেঁধে মারধর এবং প্রকাশ্যে ঘোরানোর একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয় শনিবার রাত থেকে।

এ ঘটনায় গরুর মালিক ইউনিয়নের বৃন্দানবনখিলের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক মাহবুবুল হক বাদী হয়ে থানায় মামলা করলে পুলিশ ওই ৫ জনকে গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে সোপর্দ করে। এ সময় আদালত তাদেরকে জেলহাজতে প্রেরণের নির্দেশ দেন।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন: কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলার বারবাকিয়া ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের দেলোয়ার হোসেনের ছেলে মোহাম্মদ ছুট্টু (২৭), চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলার কুসুমপুর ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের শান্তিরহাট এলাকার শহীদের কলোনির মৃত আবুল কালামের স্ত্রী পারভীন আক্তার (৪০), ছেলে মো. এমরান (২১), মেয়ে সেলিনা আক্তার সেলি (২৮) ও রোজি আক্তার (২৩)। তবে এ সময় অজ্ঞাত সিএনজিচালিত অটোরিকশার চালক পালিয়ে যায়। প্রথমজন ছাড়া তিন নারী ও দুই পুরুষ একই পরিবারের সদস্য।

গত শুক্রবার জুমার নামাজ চলাকালে এই গরু চুরির ঘটনা ঘটে এবং অটোরিকশায় তুলে নিয়ে যাওয়ার সময় জনতার হাতে ধরা পড়ে। এ সময় পুলিশ ধৃতদের হেফাজত থেকে উদ্ধার করে চোরাইকৃত গরু, স্প্রের বোতল, ছোরা, স্কচটেপ, মোবাইল, গাড়ির চাবি।

পুলিশ ও এলাকাবাসী জানায়, গরু চোরদের আটক করে স্থানীয় অতি উৎসাহী জনতা কর্তৃক পেটানো এবং রশি দিয়ে বেঁধে প্রকাশ্যে হাঁটানোর খবর পাওয়ার পর হারবাং ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. মিরানুল হক গ্রাম্য চৌকিদার পাঠিয়ে জনতার রোষানল থেকে তাদের উদ্ধার করে পরিষদে নিয়ে আসেন। এরপর হারবাং ফাঁড়ির পুলিশের কাছে সোপর্দ করেন।