৫ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, রাত ৩:২৯
শিরোনাম:

সৌদি আটক কেন্দ্রে শতশত অভিবাসী, হিটস্ট্রোক কিংবা আত্মহত্যাই নিয়তি!

অন্তর্বাস ছাড়া শতশত অভিবাসীর গায়ে আর কিছু নেই। পিঠে নির্যাতনের চিহ্ন। মরুভূমির তপ্ত গরমে ঘর্মাক্ত বিভিন্ন দেশের নাগরিকদের আটকে রাখা হয়েছে যাতে কোভিড ছড়িয়ে না পড়ে। যারা হার্টএ্যাটাকে মারা যাচ্ছেন কিংবা আত্মহত্যা করছে তাদের লাশ রাখা হচ্ছে পাশের কামড়ায়। এ দুর্দশার ছবি নিয়ে ডেইলি মেইলের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যেন তারা ঘামের কুঠরিতে বেঁচে থাকার চেষ্টা করছে।

আটকে পড়া ব্যক্তিরা বলছেন তাদের সঙ্গে জীবজন্তুর মত আচরণ করা হচ্ছে। গরমে গায়ে ফোস্কা পড়ে যায়। এর উপর চলে চাবুক ও দোররা কষাঘাত। কোভিড প্রাদুর্ভাব শুরু হলে হাজার হাজার অবৈধ অভিবাসীকে নির্বাসন দেয়া হয়। তাদের অনেককে আটক করা হয়।

সানডে টেলিগ্রাফে তাদের ফাঁস হয়ে যাওয়া ছবি প্রকাশ করে। এদের অধিকাংশ আফ্রিকার নাগরিক। খাদ্য ও পানির অভাবে তাদের প্রাণ ওষ্ঠাগত প্রায়। ‘হিট স্ট্রোকে’ মারা যাওয়ার পর একজনের লাশ কম্বল দিয়ে ঢেকে রাখা হয়েছে জীবিতদের পাশেই।

ইথোপিয়ার নাগরিক আবিবি বলেন, ‘এটা নরক, প্রতিদিন আমাদের মারধর করা হয়। আমার একমাত্র অপরাধ ভাল জীবনের আশায় দেশ ছেড়ে এদেশে এসেছি। কিন্তু তারা এমনভাবে চাবুক ও বৈদ্যুতিক তার দিয়ে মারছে যেন আমরা খুন করেছি।’

আরেকজন বলেন আমরা মৃত্যুর জন্যে অপেক্ষা করছি। কোনো চিকিৎসা নেই, টয়লেট খালি পাওয়া যায় না।

মানবাধিকার সংগঠনগুলো বলছে তেল সমৃদ্ধ দেশ সৌদি আরবের কাছে এধরনের নির্যাতন আশা করা যায় না।

মক্কার কাছে আল শুমাইসি ও ইয়েমেন সীমান্ডে জাজানে এমন দুটি আটক কেন্দ্র রয়েছে।