১৯শে মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, রাত ৪:১৯
শিরোনাম:

ডিএসসিসির সড়কে ব্যাটারিচালিত রিকশা-ভ্যান চলবে না: মেয়র তাপস

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস বলেন, ঢাকা শহরকে অনেক কবি সাহিত্যিক ‘সিটি অব রিকশা বা রিকশার নগরী’ বলে চিত্রিত করেছেন। এটা আমাদের ঐতিহ্য। রিকশাসহ আমাদের যে ধীরগতির অযান্ত্রিক যানবাহনগুলো রয়েছে, সেগুলোকে নতুন করে আমরা নিবন্ধন ও নবায়নের আওতায় আনছি। এর মাধ্যমে সড়কে শৃঙ্খলা আনা আমাদের মূল উদ্দেশ্য।

ব্যাটারিচালিত রিকশা-ভ্যানসহ যে সব অযান্ত্রিক যানবাহনে মোটর-ব্যাটারি-ইঞ্জিন সংযোজন করে যান্ত্রিক বানানো হয়েছে, সেগুলোকে ডিএসসিসি এলাকায় পাওয়া গেলে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ডিএসসিসির মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস।

রোববার সকালে নগর ভবন প্রাঙ্গণে রিকশা, ভ্যান, ঠেলা গাড়ি, টালি গাড়ি ও ঘোড়ার গাড়ি নিবন্ধন, নবায়ন, মালিকানা পরিবর্তন কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

নিবন্ধিত অযান্ত্রিক যানবাহন ছাড়া আর কোনো অযান্ত্রিক যানবাহনকে ঢাকা শহরে চলাচল করতে দেয়া হবে না জানিয়ে ডিএসসিসি মেয়র বলেন, এরই মধ্যে ডিএসসিসি এলাকার সড়কগুলোতে যানবাহনের কার্যকারিতা নিরূপণের কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে। এর ফলে কোন সড়কে ধীরগতির যানবাহন চলবে, কোন সড়কে দ্রুতগতির যানবাহন চলাচল করবে, এগুলো আমরা নির্ণয় করবো।

তিনি আরো বলেন, এই নিবন্ধন কার্যক্রমের মাধ্যমে ধীর গতির যানবাহনগুলো যেমন নিবন্ধনের আওতায় আসবে তেমনি নিয়মের আওতায়ও আসবে।

সচল ঢাকা গড়তে পরিকল্পনার প্রসঙ্গে মেয়র তাপস বলেন, সুনির্দিষ্টভাবে অযান্ত্রিক যানবাহনগুলোকে নিবন্ধনের আওতায় এনে আমরা সুনির্দিষ্টভাবে তাদের সড়ক নির্ধারণ করে দেব এবং চালকদেরকেও আমরা নিবন্ধনের আওতায় আনব। এর ফলে অযান্ত্রিক যানবাহনগুলো সুশৃৃঙ্খলভাবে যাতায়াত ব্যবস্থার আওতায় আসবে।

ডিএসসিসির প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা আরিফুল হকের উপস্থাপনায় ডিএসসিসি প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এবিএম আমিন উল্লাহ নূরী, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা এয়ার কমডোর বদরুল আমিন, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (ডা.) শরীফ আহমেদ, প্রধান প্রকৌশলী রেজাউর রহমান, ডিএসসিসি সচিব আকরামুজ্জামান, আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তারা এবং করপোরেশনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

আগ্রহী ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান ১৩ সেপ্টেম্বর থেকে আগামী ২৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত নগর ভবনের ভাণ্ডার ও ক্রয় বিভাগ এবং আঞ্চলিক কার্যালয়গুলোর দপ্তর থেকে অফিস চলাকালীন সময়ে নিবন্ধন,নবায়ন ও মালিকানা পরিবর্তনের জন্য ১শ’ টাকার (অফেরতযোগ্য) বিনিময়ে আবেদনপত্র সংগ্রহ ও জমা দিতে পারবে। সম্পাদনা : খালিদ আহমেদ