১৮ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, সন্ধ্যা ৬:২০
শিরোনাম:

চীন, মিয়ানমার, পাকিস্তান, মিশর ও তুরস্ক থেকে আসছে ১২ হাজার টন পেঁয়াজ

ভারত রপ্তানি বন্ধের আগেই বিকল্প দেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানির প্রক্রিয়া শুরু করেছেন ব্যবসায়ীরা। চট্টগ্রাম থেকে এ পর্যন্ত ১২ হাজার টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি নিয়েছেন তাঁরা। বিশ্বের পাঁচটি দেশ থেকে এসব পেঁয়াজ আমদানি হবে। চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরের উদ্ভিদ সংঘনিরোধ কেন্দ্র ও সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ী সূত্রে এই তথ্য পাওয়া গেছে।

গত বছর ভারত রপ্তানি বন্ধের সপ্তাহ দু-এক পর ব্যবসায়ীরা পেঁয়াজ আমদানিতে সক্রিয় হয়েছিলেন। এবার অবশ্য রপ্তানি বন্ধের ১১ দিন আগে থেকেই আমদানির উদ্যোগ নেন তাঁরা। রপ্তানি বন্ধের বিষয়টি আঁচ করতে পেরে আগেভাগেই ব্যবসায়ীরা আমদানির প্রক্রিয়া শুরু করেন। গত ৩ সেপ্টেম্বর থেকে পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি নিতে শুরু করেন ব্যবসায়ীরা।

ভারত সরকার গতকাল সোমবার হঠাৎ করেই পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ ঘোষণা করে। সেই সিদ্ধান্ত আনুষ্ঠানিকভাবে জানানোর আগেই গতকাল পুরো দিন দেশটি থেকে পেঁয়াজ আমদানি হয়নি। এতে দেশের বাজারে বিকেল থেকেই পেঁয়াজের দাম বাড়তে থাকে।

চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরের উদ্ভিদ সংঘনিরোধ কেন্দ্র জানায়, গত ৩ সেপ্টেম্বর থেকে আজ মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত বিশ্বের পাঁচটি দেশ থেকে ১০ হাজার ৯১ টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি নিয়েছে ২৪টি প্রতিষ্ঠান। এই পাঁচটি দেশ হলো চীন, মিয়ানমার, পাকিস্তান, মিশর ও তুরস্ক। এর বাইরে চট্টগ্রামের ট্রেড ইমপ্যাক্স নামের একটি প্রতিষ্ঠান ঢাকার উদ্ভিদ সংঘনিরোধ কেন্দ্র থেকে ২ হাজার টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি নিয়েছে। সব মিলিয়ে এ মাসের শেষ থেকে ১২ হাজার টন পেঁয়াজ দেশে আসতে শুরু করবে।

খাতুনগঞ্জের ট্রেড ইমপ্যাক্স প্রতিষ্ঠানের কর্ণধার ফারুক আহমেদ আজ বলেন, অনুমতি নেওয়ার এক দিনের মাথায় আজই ঋণপত্র খোলা হচ্ছে। দ্রুতই চালানটি দেশে আনার চেষ্টা চলছে। বিশ্ববাজারে পর্যাপ্ত পরিমাণ পেঁয়াজের মজুত আছে বলে তিনি জানান।

ট্রেড ইমপ্যাক্স ছাড়াও বকশিরহাটে ট্রেডলিংক প্রতিষ্ঠান গত বৃহস্পতিবার মিশর থেকে ১ হাজার টন পেঁয়াজ আমদানির জন্য চট্টগ্রামের উদ্ভিদ সংঘনিরোধ কেন্দ্র থেকে অনুমতি নিয়েছে। মিয়ানমার থেকে ৫০০ টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি নিয়েছে খাতুনগঞ্জ ট্রেডিং। আবুল বাশার অ্যান্ড সন্স নিয়েছে ৫০০ টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমতিপত্র। মেসার্স জিয়াউর রহমান পাকিস্তান থেকে ৫০০ টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি নিয়েছে।

এ ব্যাপারে চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরের উদ্ভিদ সংঘনিরোধ কেন্দ্রের উপপরিচালক আসাদুজ্জামান বুলবুল বলেন, গত ১১ দিন ধরে ব্যবসায়ীরা পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি (আইপি) নেওয়ার জন্য আবেদন করেছেন। আমদানি যাতে দ্রুত হয়, এ জন্য আবেদন করার পর দ্রুতই অনুমতিপত্র দেওয়া হচ্ছে।

ভারত গতকাল পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ ঘোষণা করলে অস্থির হয়ে ওঠে দেশের বাজার। আজ চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জে পেঁয়াজ বিক্রি হয় ৬৫ টাকা করে। গতকাল এই পেঁয়াজের দর ছিল ৪৫ টাকা। রপ্তানি বন্ধের খবরে একদিনেই পেঁয়াজের দাম বেড়েছে কেজিপ্রতি ২০ টাকা।