১৯শে মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, রাত ১:০৯
শিরোনাম:

‘দেশের কারাগারের নিরাপত্তা জোরদার উড়ো চিঠির জেরে নয়’

সারাদেশে কারাগারের নিরাপত্তা জোরদার উড়ো চিঠি বা ফোন কলের জেরে নয় বলে দাবি করলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল। কাশিমপুর কারাগারে থেকে যাবজ্জীবন সাজা পাওয়া কয়েদির পালানোর ঘটনায় তদন্ত কমিটির সুপারিশেই এ পদক্ষেপ বলে দাবি মন্ত্রীর। যদিও রোববার পাঠানো কারা অধিদপ্তরের চিঠিতে বন্দি ছিনিয়ে নেয়ার হুমকির কথা বলে নিরাপত্তা বাড়ানোর নির্দেশ দেয়া হয়।

১৩ সেপ্টেম্বর কারা মহাপরিদর্শক স্বাক্ষরিত চিঠি পাঠিয়ে কারা নিরাপত্তা জোরদারে তাগিদ দেয়া হয়। চিঠিতে বিশেষ ফোর্স গঠন ও অস্ত্রের নিরাপত্তা, সিসিটিভি পর্যবেক্ষণ ব্যবস্থা, জঙ্গি, আইএস, শীর্ষ সন্ত্রাসী ও সংবেদনশীল মামলায় আটক বন্দিদের গতিবিধি কঠোর নজরদারিতে রাখাসহ ১৮টি নির্দেশনা দেয়া হয়।

এর পেছনে দুষ্কৃতিকারীদের জঙ্গি-বন্দি ছিনিয়ে নেয়ার হুমকি দিয়ে চিঠি পাঠানো এবং ফোনকলকে কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়। কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগারের কারারক্ষীরাও এমনটাই জানেন।কাশিমপুর কারাগারের একজন নিরাপত্তারক্ষী বলেন, ‘আমাদের কারাগারের অংশে বহিরাগত কেউ একেবারেই প্রবেশ করবে না। আগে কম লোক ছিলো এখন বেশি লোক কাজ করছি।’

তবে মঙ্গলবার সকালে জাতীয় সংসদ প্রাঙ্গনে মুজিব বর্ষ উপলক্ষে বৃক্ষরোপণ শেষে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, কারা নিরাপত্তা জোরদারের সাথে উড়ো চিঠির সম্পর্ক নেই।

তিনি বলেন, ‘উড়ো চিঠি কিংবা কোনো প্রকার বিভ্রান্তিমূলক গুজবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কান দেয় না। আমরা সজাগ আছি। কয়েকটি ঘটনা ঘটেছে সেটা যেন না ঘটে এবং আধুনিক করে নিরাপত্তা ব্যবস্থা যেন ঢেলে সাজানো হয়।’

যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত কয়েদি আবু বকর ছিদ্দিক গত ৬ আগস্ট কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে পালিয়ে যায়। এরপর কারা অধিদপ্তরের কমিটি কারাগারের ২০ কর্মকর্তা ও কর্মচারীর বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়াসহ বেশ কিছু সুপারিশ করে।