১৯শে মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, রাত ৩:২৪
শিরোনাম:

সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে স্বাস্থ্য বিধি মানছেন না রোগী ও কর্তৃপক্ষ

মঙ্গলবার রাজধানী একটি বেসরকারি হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায় চিকিৎসক দেখাতে এসে দীর্ঘ অপেক্ষায় বসে আছেন রোগীরা। প্রত্যেক রোগী ও তার স্বজনরা একে অপরের গায়ে গা ঘেষে বসে আছেন। কারো ভেতরেই নেই কোনো স্বাস্থ্যবিধির বালাই। এছাড়া হাসপাতাল কর্তৃপক্ষেরও উদাসিনতা লক্ষ করা যায়।

সরকারি হাসপাতালগুলোর অবস্থা আরো নাজুক। এখানে কে কার আগে রোগী দেখাবে এই চিন্তায় ব্যাস্ত। রোগীর চাপ বাড়ায় শারীরিক দূরত্ব মানার নির্দেশনা কেবল কাগজে-কলমেই সীমাবদ্ধ হাসপাতালে। মাস্ক ব্যবহারেও অনীহা অনেকের মধ্যে। ফলে হাসপাতালগুলোয় চোখ রাঙাচ্ছে কোভিড সংক্রমণের ঝুঁকি। তাই সরকারি ও বেসরকারি দুই হাসপাতালের কর্তৃপক্ষের সামনে নতুন চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করা।

একটি ইতিবাচক দিক হলো, সরাসরি চিকিৎসা সেবা পেতে ভয় কাটিয়ে আবারো হাসপাতালমুখী হয়েছেন সাধারণ মানুষ। তবে মুদ্রার উল্টো চিত্র হলো, উপচেপড়া ভিড়ে নেই নূন্যতম দূরত্ব। স্বাস্থ্যবিধির অন্য সব বালাই তো দূরের কথা। গায়ে গা ঘেঁষে রোগীরা গিয়ে পরছেন চিকিৎসকের চেম্বারে।

বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসক দেখাতে গিয়ে বিব্রতক পরিস্থিতির কথা বলতে গিয়ে এক রোগীর স্বজন জানান, পুরো সময়টা এক রোগী আরেক রোগীর কাছাকাছি বসেছেন। স্বাস্থ্যবিধি অনুযায়ী একজন রোগিও বসেনি। আর স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিতে হাসপাতালটির কর্তৃপক্ষও আসেনি।

এটি শুধু বেসরকারি হাসপাতালের অবস্থা নয়। সরকারি হাসপাতালগুলোতেও একই অবস্থা। রোগীর স্বজনরা কেউ কেউ হাসপাতালেও মাস্ক পরতে রাজি নয়। তবে বাইরে যাই হোক। চিকিৎসকরা ঠিকই একটি কাচে মোড়ানো ঘরের ভেতরে বসেই রোগি দেখছেন। চিকিৎসকরা যেমন নিজেকে সেভ রাখছেন তেমনি রোগীদেরও সেভ রাখার চেষ্টা করছেন।

করোনা প্রতিরোধে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের দেয়া গাইডলাইনে এক মিটার দূরত্ব নিশ্চিত, সবার মাস্ক ব্যবহার, তাপমাত্রা পরিমাপের মতো বেশ কিছু নির্দেশনা থাকলেও বাস্তব চিত্র ভিন্ন। উপেক্ষিত স্বাস্থ্যবিধির কারণে স্বাস্থ্যসেবা নিতে এসে উল্টো বাড়াচ্ছে করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি।

কয়েকটি হাসপাতালের কর্মকর্তারা জানান, বার বার বলেও স্বাস্থ্যবিধি মানানো সম্ভব হয়না। হাসপাতালের আসা রোগিরা নিজেরাই সচেতন না। চিকিৎসক তার নিজের সেফটি ঠিকই নিয়েছেন। কিন্তু রোগিরাই মানছেন না।