১৮ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, বিকাল ৫:৩১
শিরোনাম:

সোনামসজিদ বন্দর দিয়ে রপ্তানি বন্ধ করে ৪০০ ট্রাক পেঁয়াজ ফিরিয়ে নিয়েছে ভারত

চাঁপাইনবাবগঞ্জের সোনামসজিদ বন্দর দিয়ে রপ্তানি বন্ধ করে ৪০০ ট্রাক পেঁয়াজ ফিরিয়ে নিয়েছে ভারত। এসব পেঁয়াজ টেন্ডার করা ছিলো।

চার শতাধিক ট্রাকের মধ্যে শনিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) বিকেলে ৩০০ ট্রাক এবং পরে আরো ১০০ ট্রাক পেঁয়াজ মহদীপুর বন্দর থেকে ফেরত নিয়ে যায় সংশ্লিষ্টরা।

জানা গেছে, চার শতাধিক ট্রাকের মধ্যে মাত্র ৮ ট্রাক পেঁয়াজ তারা সোনামসজিদ বন্দরে পাঠায়। এরপরই রপ্তানি বন্ধ করে দেয়। ওই ৮ ট্রাক পেঁয়াজের তিন ভারে একভাগই পচা বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।

সোনামসজিদ স্থলবন্দর সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের আ. আওয়াল বলেন, ১৪ সেপ্টেম্বরের আগে টেন্ডারকৃত পেঁয়াজ সোনামসজিদ বন্দর দিয়ে কি পরিমাণ ছিল তা নিশ্চিত না হওয়া গেলেও টেন্ডারকৃত পেঁয়াজের পরিমাণ আরো বেশি। কিন্তু বন্দরে প্রবেশের অপেক্ষায় থাকা পেঁয়াজ ভারত না দিয়েই ফিরিয়ে নিচ্ছে।

তিনি আরো বলেন, মহদীপুর বন্দরে হাতেগোনা কয়েকটি ট্রাকে থাকা পেঁয়াজ নষ্ট হওয়ার ভয়ে স্থানীয় আড়ৎগুলোতে খালাস করা হলেও আটকে পড়া বাকি সব পেঁয়াজ বন্দর থেকে সরিয়ে ফেলে ভারতীয় কর্তৃপক্ষ। এতে করে এ বন্দর দিয়ে আর বাংলাদেশে পেঁয়াজ প্রবেশের সম্ভবনা নেই।

সোনামসজিদ বন্দর পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান পানামা পোর্ট লিংক লিমিটেডের পোর্ট ম্যানেজার মাঈনুল ইসলাম জানান, মহদীপুর দিয়ে লোক দেখানো আটটি ট্রাকে ২১৩ মেট্রিক টন পেঁয়াজ রপ্তানি করে বাকি পেঁয়াজ সরিয়ে নিয়েছে ভারত। ওই আট ট্রাক পেঁয়াজ অগ্রাধিকার ভিত্তিতে খালাস করে বন্দর থেকে পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে।

খাদিজা এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী আজিজুল ইসলাম জানান, তার ১০ ট্রাক পেঁয়াজ আসার কথা ছিলো। কিন্তু পেয়েছেন মাত্র দুই ট্রাক। এসব পেঁয়াজের এক তৃতীয়াংশ ফেলে দিতে হয়েছে। অর্ধেক পেঁয়াজ ২৫-৩০ টাকা কেজি দরে এবং কিছু পেঁয়াজ ৩৫-৪০ টাকা দরে বিক্রি করেছেন।

জানা গেছে, শনিবার ভারত থেকে আসা ২শ’ ১৩ মেট্রিক টন পেঁয়াজের এক তৃতীয়াংশই পচা হওয়ায় পানির দরে অধকিাংশ পেঁয়াজ বিক্রি করতে দেখা গেছে ব্যবসায়ীদের। আবার পচে যাওয়ায় কেউ কেউ পেঁয়াজ ফেলে দিতে বাধ্য হয়েছেন। এতে আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন ব্যবসায়ীরা।