রোহিঙ্গা ইস্যুটি বার বার গলার কাঁটা হয়ে উঠছে বাংলাদেশের। সৌদি আরবে অবস্থানরত ৫৪ হাজার রোহিঙ্গাকে এবার বাংলাদেশি পাসপোর্ট দিতে চাপ দিচ্ছে দেশটি। না হয় সেখানে কর্মরত ২২ লাখ বাংলাদেশিকে ফেরত পাঠানোর হুমকি দেয়া হচ্ছে। তবে কোন রোহিঙ্গাকে বাংলাদেশি পাসপোর্ট দেয়া হবে না বলে সাফ জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। এ নিয়ে আগামী রোববার (২৭ সেপ্টেম্বর) জরুরি বৈঠকে বসবেন দু দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
আগে থেকে অবস্থানরত ৩ লাখসহ প্রায় সাড়ে ১১ লাখ রোহিঙ্গার বাস এখন বাংলাদেশে। মড়ার ওপর খাঁড়ার ঘা হয়ে এসেছে সৌদি আরবের চাপ।
মানবিক কারণ দেখিয়ে ৮০/৯০ সালের দিকে কয়েক হাজার রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দেয় সৌদি। বাংলাদেশি ভুয়া পাসপোর্ট নিয়েও অনেক রোহিঙ্গা দেশটিতে যায়। এখন সে দেশে আশ্রয়রত ৫৪ হাজার রোহিঙ্গাকেই বাংলাদেশের পাসপোর্ট দিতে চাপ দিচ্ছে সৌদি।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, ‘তারা ঐ ৫৪ হাজার বাংলাদেশিকে ফেরত আনতে বলেনি, তবে বলছে আমাদের দেশের পাসপোর্ট তাদের দিতে।’
নতুবা বাংলাদেশিদের ফেরত পাঠানোর হুমকি বাংলাদেশি শ্রমিকদের অন্যতম এ বাজারের।
সৌদির দাবিতে রোহিঙ্গাদের কাগজপত্র যাচাইয়ে পররাষ্ট্র সচিবের নেতৃত্বে একটি কমিটি করেছে বাংলাদেশ। তবে চাপের কাছে নতি স্বীকার না করার পরামর্শ দিয়েছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক সাহাব এনাম খান।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, ‘সৌদি বলছে এই রোহিঙ্গাদের পাসপোর্ট ইস্যু না করলে অন্যান্য দেশের চেয়ে তোমাদের দেশ থেকে যে বেশি লোক আনছি সেটা বন্ধ করে দেবো। এবং তোমাদের যে ২২ লাখ জনবল এখানে থাকে তাদের বিরুদ্ধে আমরা নেতিবাচক অবস্থান নেবো।’
তিনি বলেন, ‘পুরো বিষয়টি ঘটেছে আমাদের দুর্বলতার জন্য। শুধু এ ব্যাপরেই নয়, সব রাষ্ট্রের সাথেই কুটনৈতিক সম্পর্কটা একটু দৃঢ়তার সাথে রাখতে হবে।’
২৭ সেপ্টেম্বর পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সাথে জরুরি বৈঠকে সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী বিষয়টি উত্থাপন করলে নিজেদের অবস্থান জানিয়ে দেবে বাংলাদেশ।