৫ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, দুপুর ১:১২
শিরোনাম:

এবার ভিপি নুরুল হক নুর বিরুদ্ধে পর্নোগ্রাফি ও ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করলেন ঢাবির সেই ছাত্রী

ধর্ষণ ও ধর্ষণে সহযোগিতা, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে চরিত্রহনন ও অপহরণের অভিযোগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সাবেক ভিপি নুরুল হক নুরসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে দুটি মামলা করা ঢাবির সেই শিক্ষার্থী এবার পর্নোগ্রাফি ও ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে আরেকটি মামলা করেছেন। বুধবার রাতে শাহবাগ থানায় তিনি এই মামলাটি করেন।

শেখ মোহাম্মদ শামীম বলেন, ‘পর্নোগ্রাফি ও ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা দায়ের করেছেন ঢাবির সেই ছাত্রী। মামলায় তিনি কয়েকটি নামযুক্ত ফেসবুক আইডি ও অজ্ঞাত শতাধিক ফেসবুক অ্যাকাউন্ট, পেজ ও গ্রুপ থেকে তাঁর নামে অপপ্রচার ও যৌন উত্তেজনা সৃষ্টিকারী মিথ্যা সংলাপ ছড়ানো হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন। তিনি এতে আরো উল্লেখ করেছেন, মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে এই মামলাটি করেছেন।’

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) রমনা বিভাগের সহকারী কমিশনার (এসি) শেখ মোহাম্মদ শামীম এই তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

শেখ মোহাম্মদ শামীম আরো বলেন, ‘এজাহারে তিনি যেসব আইডি বা পেজের কথা উল্লেখ করেছেন আমরা এরইমধ্যে সেসব পেজ বা আইডিগুলো খতিয়ে দেখতে তদন্ত করা শুরু করেছি। মামলার অভিযোগের বিষয়ে সত্যতা পাওয়া গেলে আসামিদের বিরুদ্ধে দ্রুতই আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

গত সোমবার রাতে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কোতোয়ালি থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন এবং ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে একটি মামলা করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের ওই ছাত্রী। একই বাদী গত রোববার ডিএমপির লালবাগ থানায় একই আসামিদের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে আরেকটি মামলা করেছিলেন।

মামলার এজাহারে ওই ছাত্রী বলেছেন, ‘দুটি মামলা করার পর থেকে তামান্না ফেরদৌস শিখা, তামান্না আক্তার, তাজুল ইসলাম আকাশ, শারমিন রিজিয়া, এইচ এম হোসাইন বিন নূর, মো. তুহিন মোল্লা হৃদয়, মেহেদী হাসান সুজন ও রেজাউল করিম কাজল নামের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট এবং ‘স্বপ্নের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়’ নামে ফেসবুক গ্রুপসহ অজ্ঞাত শতাধিক ফেসবুক অ্যাকাউন্ট, পেজ ও গ্রুপ থেকে আমার নামে যৌন উত্তেজনা সৃষ্টিকারী মিথ্যা অশ্লীল সংলাপ পাবলিক পোস্ট, কমেন্ট ও শেয়ারের মাধ্যমে প্রচার করে আমার ব্যক্তিগত ও সামাজিক মর্যাদাহানি করে আসছে। এ ঘটনায় আমি মানসিকভাবে বিপর্যস্ত।’

কোতোয়ালি থানায় করা মামলার আসামিরা হলেন বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক নাজমুল হাসান সোহাগ (২৮), আহ্বায়ক হাসান আল মামুন (২৮), ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর (২৫), ছাত্র অধিকার পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক সাইফুল ইসলাম (২৮), ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র অধিকার পরিষদের সহসভাপতি নাজমুল হুদা (২৫) এবং আব্দুল্লাহিল বাকি (২৩)। এর আগে লালবাগ থানার মামলায় হাসান আল মামুনকে ১ নম্বর ও নাজমুল হাসান সোহাগকে ২ নম্বর এবং নুরকে ৩ নম্বর আসামি করা হয়।

মামলার প্রধান আসামি বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের আহ্বায়ক হাসান আল মামুনকে বুধবার সংগঠন থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। এই ঘটনায় সংগঠনটির পক্ষ থেকে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।