১৯শে মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, সন্ধ্যা ৬:০৭
শিরোনাম:

মাকে দেখা হলো না ছেলের

প্রদীপ কুমার দেবনাথ, বেলাবো উপজেলা প্রতিনিধি ( নরসিংদী) : অতি আদরের মাতৃভক্ত ছেলে শাকিল। পরিবারের অভাব ঘোছাতে ৬ বছর আগে পাড়ি জমায় সূদুর সৌদি আরবে। করোনার কারণে আটকে ছিল বাড়ি ফেরা। অবশেষে সে কাঙ্খিত বাড়ি ফেরার স্বপ্নও বা¯Íবে রুপ নিলো। আজ রাত ১০ টায় তার বিমানে উঠার কথা। মা রহিমা বেগম আদরের সন্তানের সাথে দেখা করা, মনের ভিতরে জমানো কথা সন্তানের সাথে ভাগাভাগি করা, সন্তানকে তার পছন্দের খাবার তৈরি করে খাওয়ানোর জন্য প্র¯Íুতির অন্ত নেই। পাড়া প্রতিবেশীদের সাথে গত কয়েকদিন ধরে শুধু ছেলে আসার গল্প করতে ব্য¯Í। ছেলে নয় যেন আকাশের চাঁদ হাতের মুঠোয় আসছে এমন আনন্দে বিভোর ছিলেন রহিমা। কিন্তু বিধিবাম। কে জানত ছেলে আসার দিনে চলে যাবেন মা পৃথিবীর মায়া ছেড়ে। ঠিক এমন বিষাদময় ঘটনাটিই ঘটল আজ নরসিংদী জেলার বেলাব উপজেলার ভাবলা গ্রামে।  বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়ে মারা গেলেন প্রবাসী শাকিলের মা রহিমা বেগম এবং তাকে বাঁচাতে গিয়ে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে তার জা শাকিলের চাচী মাসুদ মিয়ার স্ত্রী।

আজ শুক্রবার বিকেল আনুমানিক ৩ ঘটিকায় নরসিংদী জেলার বেলাব উপজেলার ভাবলা গ্রামের মরহুম আব্দুল হাইয়ের বড় ছেলে লাল মিয়ার স্ত্রী রহিমা বেগম (৫১) বাড়ির উঠান দিয়ে যাওয়া বিদ্যুৎ লাইনে তড়িতাহত  হউন। কয়েক মিনিট পর লাল মিয়ার ছোট ভাই মাসুদ মিয়ার স্ত্রী লক্ষ্য করেন তার জা মাটিতে পড়ে আছে। দ্রæত তিনি জা’য়ের নিকট যান এবং তাকে টেনে তুলার উদ্দেশ্যে হাতে টান দিতে তিনিও বিদ্যুৎপৃষ্ট হউন। এসময়  আশেপাশে কেউ না থাকায় তারা দুজনেই মাটিতে নিথর হয়ে পড়ে থাকেন। আশেপাশের লোকজন এসে উদ্ধার করে দুজনকেই বেলাব  হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার  লাল মিয়ার স্ত্রী রহিমা বেগম (৫১) কে মৃত ঘোষণা করেন। অপরদিকে মাসুদ মিয়ার স্ত্রীকে সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন। সদর হাসপাতালে নেওয়া হলে সেখানকার কর্তব্যরত ডাক্তারগণ মাসুদ মিয়ার স্ত্রীকে জরুরি ঢাকায় নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন।