১৮ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, রাত ৯:৪৭
শিরোনাম:

দেড়শ’ টিকিটের বিপরীতে কয়েক হাজার সৌদি যাত্রী ভিড়

নতুন করে বিমান ল্যান্ডিংয়ের অনুমতি না মেলায় জটিলতা কাটছে না সৌদি প্রবাসীদের। এখনো বিশেষ অনুমতিতেই আটকে আছে বাংলাদেশ বিমানের সৌদি ফ্লাইট। দেড়শ’ টিকিটের বিপরীতে কয়েক হাজার মানুষের ভিড়।

বিশেষ ৪টি ফ্লাইটের টিকেট বুকিং দেওয়ার ৩য় ও শেষদিনে বাজে পরিস্থিতি মতিঝিলের বিমান কার্যালয়ে। অপেক্ষায় ১৬ থেকে ২০ মার্চ পর্যন্ত বাতিল হওয়া বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ফ্লাইটগুলোর হাজার হাজার সৌদিগামী যাত্রী। যদিও এদিন বুকিংয়ের জন্য বাকি ছিল মাত্র ১৫০টি টিকেট।

অন্যদিকে একই অবস্থা সৌউদিয়া এয়ারলাইন্সের। এমনকি টোকেন দিতেও তিন দফা তারিখ পরিবর্তন করেছে কর্তৃপক্ষ। আর ল্যান্ডিং অনুমতি ছাড়া আর টিকেট দেয়া সম্ভব নয় বলে জানিয়েছে বিমান কর্তৃপক্ষ।

একজন ভুক্তভোগী বলেন, না যেতে পারলে পরিবারসহ মরা ছাড়া আমাদের আর কোনো উপায় থাকবে না।

১৬ থেকে ২০ মার্চে মধ্যে বিমানে করে দাম্মাম কিংবা মদীনায় ফিরতে চেয়েছিলেন সৌদিগামী এমন যাত্রীদের হতাশা একটু বেশিই। কারণ বিশেষ ফ্লাইটের ৪টিই জেদ্দা ও রিয়াদ গন্তব্যে। কাজে ফিরতে যাওয়া প্রবাসীদের অসহায় আক্ষেপ আছে অন্যান্য তারিখ নিয়েও।

বিমান বাংলাদেশ সিহিকারী ব্যবস্থাপক মো. জাহিদুল ইসলাম বলেন, এখনও ১ তারিখের ফ্লাইটের অনুমোদন পাই নাই। পাইলে ওয়েবসাইটে জানিয়ে দেয়া হবে।

কিন্তু বিমানের সাফ জবাব, ল্যান্ডিং পারমিশন না পাওয়ায়, নতুন কোনো ফ্লাইট বুকিং দেয়া সম্ভব নয়।

এসব কারণে কয়েক দফা সড়ক অবরোধ করে ক্ষোভ দেখায় প্রবাসীরা। তাতেও ফল হয়নি তেমন। ৪ অক্টোবরের আগে টোকেন মিলবে না এমন সিদ্ধান্তে হতাশ হয়েই ফিরতে হয় দেশের বিভিন্ন প্রত্যন্ত এলাকা থেকে টিকেটের জন্য ঢাকা আসা প্রবাসীদের।

সরকারের আশ্বাস আর দুতিয়ালির বিপরীতে সৌদি কর্তৃপক্ষের ভ্রুক্ষেপহীনতা সৌদি এয়ারলাইন্সেও। বাংলাদেশের পক্ষ থেকে যতটা সম্ভব ততটা ফ্লাইটের অনুমতি দেয়া থাকলেও টিকেট বুকিং কিংবা ফ্লাইট বাড়ানোর ক্ষেত্রে তেমন কোনো অগ্রগতি নেই সৌদি এয়ারলাইন্সেও।

এদিকে শনিবার বিকেলে প্রবাসীদের বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের প্রথম বিশেষ ফ্লাইটটি সৌদির উদ্দেশে ঢাকা ছেড়েছে।