৫ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, রাত ৪:২২
শিরোনাম:

সিলেটে এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে গণধর্ষণ মামলার ৩নং আসামি রনি ও ৫নং আসামি রবিউল গ্রেফতার

সিলেটে এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে স্বামীকে বেঁধে রেখে স্ত্রীকে গণধর্ষণ মামলার ৩নং আসামি ছাত্রলীগ নেতা মাহবুবুর রহমান রনি (২৮) ও ৫নং আসামি রবিউল ইসলামকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এ নিয়ে এ মামলায় মোট চারজন গ্রেফতার হয়েছেন।

সিলেটের এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে স্বামীকে আটকে রেখে গৃহবধূকে গণধর্ষণ মামলার ৫নং আসামি রোববার রাত সাড়ে ৯টায় রবিউল ইসলামকে গ্রেফতারের বিষয়টি যুগান্তরকে নিশ্চিত করেছেন হবিগঞ্জের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আলী।

রোববার রাতে শায়েস্তাগঞ্জ থেকে মাহবুবুর রহমান রনিকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব। রবিউল ইসলামকে হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ থেকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

এ মামলায় গ্রেফতার অপর দুইজন হলেন প্রধান আসামি সাইফুর রহমান ও ৪ নম্বর আসামি অর্জুন লস্কর।

রোববার সকাল ৮টার দিকে সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলার সীমান্তবর্তী এলাকা নোয়ারাই খেয়াঘাট থেকে মামলার প্রধান আসামি সাইফুর রহমানকে গ্রেফতার করা হয়। এছাড়া হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার মনতলা সীমান্ত এলাকা থেকে জকিগঞ্জের আটগ্রামের কানু লস্করের ছেলে অর্জুন লস্করকে গ্রেফতার করেছে সিলেট জেলা পুলিশ।

এ ঘটনায় ভিকটিমের স্বামী বাদী হয়ে শাহপরান থানায় মামলা করেছেন। মামলা ছাত্রলীগের ৬ নেতাকর্মীসহ অজ্ঞাত আরও ৩ জনকে আসামি করা হয়েছে।

প্রসঙ্গত গত শুক্রবার এমসি কলেজে স্বামীর সঙ্গে বেড়াতে গিয়ে গণধর্ষণের শিকার হন এক গৃহবধূ। রাত সাড়ে ৮টার দিকে স্বামীর কাছ থেকে ওই গৃহবধূকে জোর করে তুলে নিয়ে ছাত্রাবাসে ধর্ষণ করে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এ সময় কলেজের সামনে তার স্বামীকে আটকে রাখে দুজন।

মামলার অন্য আসামিরা হলেন- সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার উমেদনগরের রফিকুল ইসলামের ছেলে তারেকুল ইসলাম তারেক (২৮), হবিগঞ্জ সদরের বাগুনীপাড়ার মো. জাহাঙ্গীর মিয়ার ছেলে শাহ মো. মাহবুবুর রহমান রনি (২৫), জকিগঞ্জের আটগ্রামের কানু লস্করের ছেলে অর্জুন লস্কর (২৫), দিরাই উপজেলার বড়নগদীপুর (জগদল) গ্রামের রবিউল ইসলাম (২৫) ও কানাইঘাটের গাছবাড়ি গ্রামের মাহফুজুর রহমান মাসুম (২৫)।

তাদের মধ্যে তারেক ও অর্জুন শিক্ষার্থী না হলেও সবাই এমসি কলেজ ছাত্রলীগের নেতা এবং সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক অ্যাডভোকেট রনজিত সরকারের অনুসারী বলে জানা গেছে।

সূত্র- যুগান্তর