২৮শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, সকাল ৬:৩১
শিরোনাম:

সিলেট এম সি কলেজ গৃহবধু গণধর্ষণ মামলার আরও তিন আসামির ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর

সিলেট এম সি কলেজ ছাত্রাবাসে গৃহবধু গণধর্ষণ মামলার এজহারভুক্ত আসামি রনিসহ অপর দুইজনকে পাঁচদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। সিলেট মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সাইফুর রহমান এই আদেশ দেন। এ নিয়ে এ ঘটনায় গ্রেফতার সাতজনের মধ্যে আদালতে হাজির ছয়জনের রিমান্ড মঞ্জুর হলো। ঘৃণ্য এ ঘটনার ধিক্কার জানান আদালতে উপস্থিত অর্ধ শত আইনজীবী। তারা সাফ জানান আসামীদের পক্ষে কোন আইনজীবী লড়বেন না।

উৎসুক জনতা বলেন, ‘শাহজালালের মাটি কুলষিত হতে দিবো না, ইনশাআল্লাহ। ফাঁসি চাই। এইরকম অপরাধীর ফাঁসি চাই।’

মঙ্গলবার (২৯ সেপ্টেম্বর) সকাল ১১টা। সিলেট আদালত প্রাঙ্গণে ধিক্কার আর ফাঁসির স্লোগানে ফেটে পড়েন উৎসুক জনতা। এম সি কলেজ ছাত্রাবাসে তরুনী গৃহবধূ গণধর্ষণ মামলার এজহাভুক্ত আসামি রনিসহ রাজন আর আইনুল তখন আদালত চত্বরে।

আদালতে হাজিরের পর কিছুক্ষণের শুনানি শেষেই রাষ্ট্রপক্ষের সাতদিনের রিমান্ডের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে মেট্রোপলিটন ম্যাজিট্রেট সাইফুর রহমান পাঁচ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন এই তিন আসামির। ঘৃণ্য এ ঘটনার ধিক্কার জানান আদালতে উপস্থিত অর্ধ শত আইনজীবী। জানান এ মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের হয়েই কাজ করবেন আদালতের সব আইনজীবী।

সিলেট জজকোর্ট এপিপি অ্যাডভোকেট খোকন কুমার দত্ত বলেন, ‘এই মামলার গড ফাদার কে আছেন এবং কারা জড়িত এই মামলায় যে লুন্ঠিত মালামালগুলো কোথায় কার কাছে কি অবস্থায় আছে স্বর্ণালংকার, টাকা পয়সা সেগুলো উদ্ধার সংক্রান্ত ব্যাপারে সাতদিনের রিমান্ড প্রার্থনা করেন সেখানে আদালত ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।’

সিলেট জর্জ কোর্ট আইনজীবী হাবিবুর রহমান বলেন, ‘আজকে আমরা যারা আইনজীবী ছিলাম এই আদালতে, আমরা বলছি যে আমরা এই আসামিদের পক্ষে থাকবো না এটা আমাদের দৃঢ় প্রতিজ্ঞা।’

গোপন সংবাদের ভিত্তিতে, সোমবার (২৮ সেপ্টেম্বর) সকালে ফেঞ্চুগঞ্জ থেকে রাজন ও আইনুল এবং রোববার রাতে আসামি রনি ও রবিউল হাসানকে হবিগঞ্জ থেকে গ্রেফতার করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। একই দিন মামলায় প্রধান আসামি ছাত্রলীগ নেতা সাইফুর রহমান ও ৪ নম্বর আসামি অর্জুন লস্করকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এ ঘটনায় অভিযুক্ত নয়জনের মধ্যে এজহারভুক্ত পাঁচজনসহ সাতজনকে গ্রেফতার করা হল। এর মধ্য ছয় আসামিকে পাঁচদিন করে রিমান্ড দিয়েছেন আদালত।

উল্লেখ্য, শুক্রবার (২৫ সেপ্টেম্বর) রাত পৌনে আটটা থেকে সাড়ে আটটার দিকে ধর্ষণের এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ছয়জনের নাম উল্লেখ করে মোট নয়জনের বিরুদ্ধে ওই তরুণীর স্বামী শাহপরান থানায় মামলা করেন। যে ছয়জনের নাম তিনি উল্লেখ করেছেন, তারা সবাই ছাত্রলীগের কর্মী হিসেবে পরিচিত।

এই ছয়জন হলেন- সাইফুর রহমান (২৮), তারেকুল ইসলাম ওরফে তারেক আহমদ (২৮), শাহ মাহবুবুর রহমান ওরফে রনি (২৫), অর্জুন লস্কর (২৫), রবিউল ইসলাম (২৫) ও মাহফুজুর রহমান ওরফে মাসুম (২৫)।