১৯শে মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, বিকাল ৩:০৭
শিরোনাম:

খুলনায় স্কুলের নবম শ্রেণীর ছাত্র বাপ্পী হত্যা মামলায় ১ জনের ফাঁসি, ৫ জনের যাবজ্জীবন

দীর্ঘ ১০ বছর পর খুলনা মহানগরীর খালিশপুরের প্লাটিনাম জুট মিল স্কুলের নবম শ্রেণীর ছাত্র মফিজুল ইসলাম বাপ্পীকে (১৬) পিটিয়ে হত্যা মামলায় ১ আসামির ফাঁসি ও ৫ আসামির যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় ২ আসামিকে খালাস দেয়া হয়।

ফাঁসির দণ্ডাদেশপ্রাপ্ত আসামি হচ্ছে মো. রকি। যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামিরা হচ্ছে মো. নজরুল, রবিউল, আল আমিন, মিলন ও মুজিব হাওলাদার। খালাসপ্রাপ্ত আসামি হচ্ছে ইব্রাহিম ওরফে বাহাদুর ও মো. হাসান।

খুলনার অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক এস এম আশিকুর রহমান বুধবার (৩০ সেপ্টেম্বর) পৌনে বারোটায় এ রায় ঘোষণা করেন।

আইনজীবীরা জানান, ২০১০ সালের ১০ অক্টোবর সন্ধ্যায় প্লাটিনাম স্কুল মাঠে বাপ্পী ও তার বন্ধু রাজু বসে গল্প করছিল। পূর্ব শত্রুতার জের ধরে দুর্বৃত্তরা হকিস্টিক ও রড নিয়ে রাজুর ওপর হামলা চালায়। বাপ্পী রাজুকে বাঁচানোর জন্য এগিয়ে গেলে দুর্বৃত্তরা তাকে মারধর করে। এই সুযোগে রাজু পালিয়ে যায়।

বাদী পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মোমিনুল ইসলাম জানান, মামলায় ৮ জন আসামীর মধ্যে মো. রকির ফাঁসির আদেশ দেওয়া হয়েছে। ৫ জনকে যাবজ্জীবন ও ২ জনকে খালাস দেওয়া হয়েছে। দন্ডপ্রাপ্ত প্রত্যেক আসামীকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। রায় ঘোষণার সময় রকি, নজরুল ও আলামিন আদালতে উপস্থিত ছিলেন। বাকিরা পালাতক রয়েছেন।

স্থানীয় লোকজন বাপ্পীকে উদ্ধার করে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করলে রাতে তার মৃত্যু হয়। পরদিন নিহত বাপ্পীর বড় ভাই হাফিজুর রহমান বাদি হয়ে খালিশপুর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ২০১২ সালের ৩১ মার্চ আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। মামলার ১৮ জন সাক্ষীর মধ্যে ১৬ জন সাক্ষ্য প্রদান করেছেন। সম্পাদনা: সাদেক আলী