২৭শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, রাত ১১:৩১
শিরোনাম:

নোয়াখালীতে গৃহবধূকে বিবস্ত্র করে নির্যাতনের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৪ জনকে গ্রেপ্তার

নোয়াখালীতে গৃহবধূকে বিবস্ত্র করে নির্যাতনের ঘটনায় সোমবার (৫ অক্টোবর) ঢাকা থেকে বাদল ও নারায়ণগঞ্জ থেকে দেলোয়ার নামে আরও একজনকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব। এ  ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ডিবিসি ও সময় টিভি

নোয়াখালীতে গৃহবধূকে বিবস্ত্র করে নির্যাতনের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়ার ঘটনায় নয় জনকে আসামি করে পর্নোগ্রাফি এবং নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেছেন ভুক্তভোগী নারী।

এর আগে গতকাল বিকেলে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে আব্দুর রহিমকে (২৭) নামের এক অভিযুক্তকে। সে একলাশপুর ইউনিয়নের পূর্ব একলাশপুর গ্রামের হাড়িধন বাড়ির বাসিন্দা। রাতে গ্রেপ্তার করা হয় একই এলাকার মোহর আলী মুন্সি বাড়ির মৃত আব্দুর রহিমের ছেলে মো. রহমত উল্যাহকে (৪১)।

পলাতক দেলোয়ার প্রভাবশালী হওয়ায় এক মাস ধরে ধামাচাপা পড়েছিলো ঘটনাটি। ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর সামাজিক মাধ্যমে প্রতিবাদের ঝড় ওঠে। নিষ্ঠুর ও বর্বর এ ঘটনার বিচার দাবি করেছেন সবাই।

গত ২ সেপ্টেম্বর তার সাবেক স্বামী গৃহবধূর সঙ্গে দেখা করতে আসেন। এসময় অপরিচিত লোক দাবি করে তাকে বেঁধে ফেলে স্থানীয় ঐ বখাটেরা। পরে ঘরের ভেতর ঢুকে ওই গৃহবধূকে বিবস্ত্র করে চালায় অমানুষিক নির্যাতন। সেই ভিডিও ধারণ করে ছড়িয়ে দেয়া হয় সামাজিক মাধ্যমে।

স্বজনদের অভিযোগ, স্বামীর সঙ্গে ছড়াছড়ি হওয়ার পর থেকে নোয়াখালীতে ওই নারী তার বাবার বাড়ি চলে আসেন। এরপর থেকে বিভিন্ন সময় উত্যক্ত করে আসছিল স্থানীয় রহিম, বাদল, কালাম ও তাদের সহযোগীরা।

দোষীরা প্রভাবশালী হওয়ায় ঘটনার পর এক মাস পার হলেও ভয়ে মুখ খোলেনি কেউ। কিন্তু সম্প্রতি ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। একলাশপুর ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ফিরোজ আলম ভুঁইয়া বলেন, এ জঘন্য ঘটনার সাথে জড়িতদের দ্রুত সময়ের মধ্যে গ্রেফতার করা হোক।

নোয়াখালী পুলিশ সুপার মো. আলমগীর হোসেন জানান, গৃহবধূকে নির্যাতনের ঘটনায় জড়িত কাউকে ছাড় দেয়া হবে না। অভিযুক্তদের গ্রেফতারে এবং নির্যাতিতা পরিবারকে আইনি সহযোগিতা দিতে জেলা পুলিশের ৫টি ইউনিট মাঠে কাজ করছে।

বিষয়টি নজরে এলে রোববার অভিযান চালিয়ে দুজনকে আটক করে পুলিশ। পরে রাতেই থানায় পর্নোগ্রাফি এবং নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে ৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন নির্যাতিতা নারী।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভিডিও ভাইরালের পর শুরু হয় তীব্র প্রতিবাদ। বর্বর এ ঘটনায় জড়িত সবাইকে বিচারের আওতায় এনে সুষ্ঠু বিচার দাবি করেছেন সবাই।