সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি: [২] সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে মেয়েকে উত্ত্যক্ত এবং ঘর থেকে তুলে নিয়ে কোথায় রেখেছে জানতে চাওয়ায় বৃদ্ধ বাবাকে রড দিয়ে পিটিয়ে আহত পিটিয়েছে সন্ত্রাসীরা।
আনোয়ার আলী বলেন, হবিগঞ্জ জেলার নবীগঞ্জ উপজেলার রাজনগর গ্রামের এক ব্যক্তির বাড়িতে গৃহপরিচারীকার কাজ করতো তার মেয়ে। গত ৩০ সেপ্টেম্বর বিকেলে ওই বাসা থেকে তুলে নিয়ে যায় শামীম। তারপর থেকে আর কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি। সাত বছর আগে নবীগঞ্জ উপজেলার রাজাবাজ গ্রামের কবির মিয়ার সঙ্গে মেয়ের বিয়ে হয়েছিল। গত দু’বছর হলো কবির মিয়া তার মেয়েকে তালাক দিয়েছে। এরপর থেকে ১ ছেলে নিয়ে মেয়ে বাবার বাড়িতে অবস্থান করে। তখন থেকে মেয়েকে উত্ত্যক্ত করতো শামীম। সোমবার সন্ধ্যায় শামীমের কাছে মেয়ের বিষয়ে জানতে চাইলে তাদের বাড়িতে নিয়ে গিয়ে আমাকে রড দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে।
সোমবার (৫ অক্টোবর) রাতে মেয়েটির বাবা আনোয়ার আলীকে (৬৫) আলীগঞ্জ বাজারের কলোনির ভাড়া বাসা থেকে ধরে নিয়ে গিয়ে রড দিয়ে পিটিয়ে আহত করে একই উপজেলার পাইলগাঁও ইউনিয়নের গুতগাঁও গ্রামের আংগুর মিয়ার ছেলে শামীম ও তার লোকজন। এ ঘটনায় ৪ জনকে আটক করেছে পুলিশ।
তিনি আরো জানান, আলীগঞ্জ এলাকার বাসা থেকে তাকে গুতগাঁও গ্রামের শামীম, লিটন, লিয়াকত ও আক্কাইসহ আরও দুজন ধরে নিয়ে গিয়ে রড দিয়ে পিটিয়েছে। ঘটনাটি তিনি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ৪ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্যকে জানিয়েও কোনো প্রতিকার পাননি। তার মেয়ে কোথায় আছে তিনি জানেন না।
পাইলগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হাজী মো. মখলুছ মিয়া বলেন, এ ঘটনাটি তাকে কেউ জানায়নি।
ঘটনাটির একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। ভিডিওতে দেখা যায়, মেয়ের বাবার হাতে, পিঠে ও পায়ে রডের আঘাতের চিহ্ন।
জগন্নাথপুর থানার ওসি তদন্ত মো. মুসলেহ উদ্দিন আহমেদ বলেন, ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।
জগন্নাথপুর থানার এসআই আরিফ রেজা বলেন, শামীম ও তার লোকজনদের ধরতে রাত থেকে অভিযান চালানো হয়েছে। তার বাড়ি ঘেরাও করে তাকে পাওয়া যায়নি।
স্থানীয়রা জানান, শামীম এলাকায় বখাটে, সন্ত্রাসী ও মাদকসেবী হিসেবে পরিচিত। চুরি-ডাকাতিসহ বিভিন্ন অপরাধের অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। থানায় বেশ কয়েকটি মামলাও রয়েছে তার নামে।