২৬শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, সকাল ৮:২৭
শিরোনাম:

ফাঁড়িতে রায়হানের চিৎকার শোনা গিয়েছিল,প্রত্যক্ষদর্শীদের বর্ণনা

রোববার (১১ অক্টোবর) দিবাগত রাতে সিলেট নগরীর কাষ্টঘরে সুইপার কলোনীর একটি ঘর থেকে রায়হানকে ধরে পুলিশ। এরপর সিএনজি অটোরিকশায় নিয়ে যায় বন্দরবাজার ফাঁড়িতে। সেখানে কয়েক ঘণ্টা চলে অমানুষিক নির্যাতন। ডিবিসি নিউজকে জানালেন, আলোচিত এই হত্যাকাণ্ডের প্রত্যক্ষদর্শীরা। সূত্র: ডিবিসি

প্রত্যক্ষদর্শী কাষ্টঘরের বাসিন্দা সুরাইলাল বলেন, ‘হঠাৎ খুব স্পিডে দৌড় দিয়ে একজন দেয়ালের ওইদিকে গেছে, আরেকজন আমার রুমে। ঠিক ৫ মিনিট পর পুলিশ এসে দরজা ঠকঠক করে। দরজা খোলার পর তারা বলে এখানে একটা ছিনতাইকারী আছে। ছেলেটারে পরে হাতে হ্যান্ডকাফ লাগিয়ে সুস্থ অবস্থায় এখান থেকে নিয়ে গেছে।’

রাত তখন প্রায় আড়াইটা, পুলিশের তাড়া খেয়ে কাষ্টঘর সুইপার কলোনিতে সুরাইলালের ঘরে লুকান রায়হান। সেখান থেকে রায়হানকে ধরে নিয়ে যায় কয়েকজন পুলিশ সদস্য।

এরপর সিএনজি অটোরিকশায় করে তাকে নিয়ে যাওয়া হয় বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়িতে। প্রত্যক্ষদর্শী সিএনজি অটোরিকশা চালক সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘এনে আমার গাাড়িতে তুলেছে, তারপর ফাঁড়িতে নিয়ে আসে। আমি আমার গাড়িতে বসেছিলাম, পরে ঘুমিয়ে গেছি। সকাল হওয়ার পর যারে নিয়ে রাতে আসলাম, তাকে মেডিক্যালে নিয়ে যেতে বলে। যে দুইজন ধরে নিয়ে আসছিলো তারা পরে মেডিক্যালে নিয়ে গেছে।’

ফাঁড়িতে কয়েক ঘণ্টা ধরে চলে নির্যাতন। বন্দরবাজার ফাঁড়ির উপরে কুদরত উল্লাহ জামে মসজিদ মার্কেটের আবাসিক হোটেল। সেখানে দোতলার ১০২ নম্বর কক্ষে তিন বছর ধরে থাকেন ব্যবসায়ী হাসান খান। তিনি জানান, সেরাতে ২/৩ ঘণ্টা ধরে শুনেছেন আর্তচিৎকার।

গত ৪ অক্টোবর পুলিশ জানায়, রায়হান গণপিটুনিতে নিহত হয়েছে। যদিও সংশ্লিষ্টতার প্রাথমিক প্রমাণ পেয়ে বন্দর বাজার ফাঁড়ির ইনচার্জ আকবরসহ ৪জনকে সাময়িক বরখাস্ত এবং ৩ জনকে প্রত্যাহার করে এসএমপি। সূত্র: চ্যানেল ২৪,