৫ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, সন্ধ্যা ৭:০৬
শিরোনাম:

সিলেটের রায়হান হত্যার ঘটনায় প্রধান অভিযুক্ত এসআই আকবরের গ্রেপ্তার নিয়ে ধোঁয়াশা

সিলেটের রায়হান হত্যার ঘটনায় প্রধান অভিযুক্ত পলাতক ও বরখাস্তকৃত এসআই আকবর সিলেট থেকেই আটক হয়েছেন। সিলেট পিবিআই তাকে মঙ্গলবার সকালে আটক করেছে বলে বিভিন্ন সূত্র জানালেও পিবিআই সংশ্লিষ্ট কোনো সূত্রই নিশ্চিত করেনি।

এদিকে আকবর হোসেন ভূঁইয়াকে ধরিয়ে দিলে বা গ্রেপ্তার করতে পারলে ১০ লাখ টাকা পুরস্কার ঘোষণা করেছেন এক প্রবাসী। যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী সামাদ খাঁন নামের ওই ব্যক্তি সোমবার দুপুরে এ ঘোষণা দেন। সামাদ খাঁনের বাড়ি সিলেটে গোলাপগঞ্জে। তার এ ঘোষণা ইউটিউব চ্যানেল ‘সিলেটি টিভি’ প্রচার করে। আমেরিকার নিউজার্সিতে সামাদের একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে।

আমাদের সিলেটের নিজস্ব প্রতিনিধি আশরাফ রাজু জানান, আকবরের গ্রেপ্তারের খবর সিলেটের কোন থানা পুলিশ এখনো নিশ্চিত করেন নি।

পুলিশ হেফাজতে ১১ অক্টোবর নগরীর আখালিয়া এলাকার যুবক রায়হান আহমদ মারা যাওয়ার ঘটনায় এসএমপির এসআই আকবরসহ ৪ জনকে সাময়িক বহিস্কার ও ৩ জনকে প্রত্যাহার করা হয়। আকবর ছাড়া অন্যরা পুলিশ লাইনে রয়েছেন। বরখাস্তদের মধ্যে রয়েছেন কনস্টেবল হারুনুর রশিদ, তৌহিদ ও টিটু দাস। প্রত্যাহার হওয়া তিনজন হলেন- এএসআই আশেক এলাহী, এএসআই কুতুব আলী ও কনস্টেবল সজিব হোসেন।

পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পেয়ে বিষয়টি আমলে নেয় এসএমপি। গঠন করে তদন্ত কমিটি। তদন্ত কমিটির সঙ্গে কথা বলার পরই গা-ঢাকা দেন এসআই আকবর। মামলা তদন্তে অগ্রগতিতে জড়িতদের প্রমাণ পাওয়া গেলে পুলিশ লাইনে থাকা অভিযুক্ত বাকি পুলিশ সদস্যরা গ্রেপ্তার হতে পারেন। পিবিআই সিলেটের পুলিশ সুপার মো. খালেদুজ্জামান জানান, তদন্তকালে যাদের নাম পাওয়া যাবে তাদের সবাইকে আইনের আওতায় আনা হবে।

ঘটনার দিন ভোররাতে রায়হানকে কাষ্ঠঘর থেকে কনস্টেবল তৌহিদ মিয়া ও হারুনুর রশিদ আটক করে নিয়ে আসেন বলে অভিযুক্তরা তদন্ত টিমের কাছে দাবি করেন। এএসআই আশিক এলাহী ওইদিন তাদের সঙ্গে ছিলেন। প্রথমে তাকে ছিনতাইকারী হিসেবে গণপিটুনিতে মারা গেছেন বলে প্রচার করা হয়। ওইদিন বিকেলেই পরিবারের সদস্যদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে পাল্টে যায় ঘটনার দৃশ্যপট।