১৯শে মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, রাত ১১:৩৯
শিরোনাম:

ঢাকা-১৮ আসনে জাহাঙ্গীরকে মনোনয়ন দিয়ে বেকায়দায় বিএনপি

ঘটনার সূত্রপাত গত ১২ সেপ্টেম্বর। বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে প্রার্থীদের সাক্ষাৎকারের দিন। কার্যালয়ের সামনের সড়কে দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী দুই প্রার্থী এম কফিল উদ্দিন আহমেদ ও এসএম জাহাঙ্গীর সমর্থকদের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ।

সুষ্ঠু তদন্ত ও আভ্যন্তরীণ কোন্দল নিরসন না করে প্রার্থী ঘোষণায় সংকটের মধ্যে পড়েন দলের নীতিনির্ধারকরা। এই আসনকে ঘিরে বিএনপির মধ্যেই এখন উত্তেজনা। ইতিমধ্যে কয়েকজনকে বহিস্কার করায় পরিস্থিতি চলে যায় নিয়ন্ত্রনের বাইরে। বিক্ষুব্ধদের ঘোষণা যেখানেই জাহাঙ্গীর নির্বাচনী প্রচারণা চালাবে সেখানে প্রদশর্ন করা হবে কালোপতাকা। বিক্ষোভকারীরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে ঝাড়ু মিছিল, কুশপুত্তলিকা দাহ ও নগরজুড়ে পোস্টার সাঁটিয়ে বিক্ষোভ অব্যাহত রেখেছে।

এই ঘটনার পর দলের মধ্যে দাবি উঠে এ ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার। ঘটনার কয়েকদিন পর দলের যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকনকে তদন্তের ভার দেন বিএনপির হাইকমাণ্ড। কিন্তু তদন্তের আগেই ঢাকা ১৮ আসনে দলীয় প্রার্থী এস এম জাহাঙ্গীরের নাম ঘোষণা দেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এরপরই বিপত্তি দেখা দেয় দলের মধ্যে। জাহাঙ্গীরকে প্রতিহতের ঘোষণা দেয় দলের বিক্ষুব্ধ অংশ থেকে। এ ঘটনায় মির্জা ফখরুলের বাসভবনে বিক্ষুব্ধরা ডিম নিক্ষেপ করে প্রতিবাদ জানায়।

সন্ত্রাসী ও ঘরজামাই এসএম জাহাঙ্গীর ও তার গুন্ডাবাহিনীর বিচার ও বহিষ্কার চাই শিরোনামে নগরজুড়ে পোস্টার সাঁটায়। জাতীয় প্রেসক্লাব, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি, জজকোর্ট, বিএনপির নয়াপল্টন কেন্দ্রীয় কার্যালয়, মহানগর কার্যালয় ও কারওয়ান বাজার এলাকায় এসব পোস্টার দেখা গেছে।