১৯শে মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, রাত ১০:১৮
শিরোনাম:

ঢাকা-৭ আসনের সাংসদ হাজী মোহাম্মদ সেলিমের দেখা মিললো জেলহত্যা দিবসের অনুষ্ঠানে

ডেস্ক রিপোর্ট : নৌবাহিনী এক কর্মকর্তাকে মারধরের ঘটনায় ছেলে গ্রেপ্তার হওয়ার পর এক সপ্তাহের বেশি সময় অন্তরালে থাকা ঢাকা-৭ আসনের সাংসদ হাজী মোহাম্মদ সেলিমের দেখা মিললো জেলহত্যা দিবসের অনুষ্ঠানে। বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম

হাজী সেলিমের ছেলে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ৩০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ইরফান সেলিম সে সময় গাড়িতে ছিলেন বলে পুলিশের ভাষ্য। এরপর কয়েকটি মামলা নিয়ে এখন ডিবির রিমান্ডে আছেন ইরফান। মদ্যপান ও বেআইনিভাবে ওয়াকিটকি ব্যবহার করায় ভ্রাম্যমাণ আদালতে তার দেড় বছরের কারাদণ্ডও হয়েছে।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল মঙ্গলবার সকালে নাজিমউদ্দিন রোডে ঢাকার পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগারে যখন বঙ্গবন্ধু ও জাতীয় চার নেতার প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানাচ্ছিলেন, তার পাশেই ছিলেন হাজী সেলিম। গত ২৫ অক্টোবর রাতে ধানমণ্ডিতে হাজী সেলিমের গাড়ি থেকে কয়েকজন নেমে নৌবাহিনীর এক কর্মকর্তাকে মারধর করেন।

সাজা হওয়ায় ইরফানকে হারাতে হয়েছে কাউন্সিলরের পদ। সাংসদের পরিবারের ‘অবৈধ সম্পদের’ তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহে অনুসন্ধান শুরুর ঘোষণা দিয়েছে দুদক। ছেলের ওই ঘটনার পর থেকে আড়ালে থাকা হাজী সেলিম মঙ্গলবার সকাল সোয়া ৯টার দিকে একটি সাদা এসইউভিতে চড়ে নাজিমউদ্দিন রোডের পুরনো কারাগারে যান জেলহত্যা দিবসের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে। এ সময় বড় ছেলে সোলায়মান সেলিম তার সঙ্গে ছিলেন।

এ সময় হাজী সেলিমও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে সালাম দিয়ে তার পাশে দাঁড়ান। পরে সবাই মিলে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি ও জাতীয় চার নেতার প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান। তবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও হাজী সেলিমের মধ্যে সে সময় বাক্যালাপ হতে দেখা যায়নি। সকাল সোয়া ১০টার দিকে মন্ত্রী কারাগার থেকে চলে গেলে হাজী সেলিমও সাড়ে ১০টার দিকে বেরিয়ে যান।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল অনুষ্ঠানস্থলে পৌঁছান পৌনে ১০টার দিকে। গাড়ি থেকে নেমে তিনি দাঁড়ান কারাগারের পুরনো মালখানার কাছে। মন্ত্রীর ইশারা পেয়ে এগিয়ে যান ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির, ছিলেন সাবেক সংসদ সদস্য মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিনও।

ছেলে গ্রেপ্তার হাওয়ার পর হাজী সেলিমকে বাইরে খুব একটা দেখা না গেলেও স্থানীয়রা জানিয়েছেন, গত শুক্রবার চকবাজার শাহী জামে মসজিদে নামাজ পড়তে গিয়েছিলেন তিনি।