১৯শে মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, রাত ৯:১০
শিরোনাম:

নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের মামলায় ফরিদপুরের জজকোর্ট থেকে জামিন পেলেন মুজিবর রহমান চৌধুরী নিক্সন

নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের মামলায় হাইকোর্টের আগাম জামিনের মেয়াদ শেষে ফরিদপুরের জজকোর্ট থেকে জামিন পেলেন ফরিদপুর-৪ আসনের স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য মুজিবর রহমান চৌধুরী নিক্সন।

নিক্সনের আইনজীবী শামসুল হক ভোলা মাস্টার জানান, রাষ্ট্রপক্ষ এ জামিন আবেদনের বিরোধিতা না করায় আদালত দুই হাজার টাকার বেলবন্ডে এমপি নিক্সনকে নিয়মিত জামিন দেন।

মঙ্গলবার (৮ ডিসেম্বর) বেলা ১১টায় দুই হাজার টাকার মুচলেকা নিয়ে ফরিদপুরের জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. সেলিম মিয়ার আদালত তাকে জামিন দেন বলে জানিয়েছেন এমপির আইনজীবী।

জামিনের পর নিক্সন বলেন, ওই নির্বাচন বাতিল হয়ে যাওয়ায় তার বিরুদ্ধে করা মামলার গুরুত্ব হারিয়েছে কিনা সে বিবেচনা আদালত করবেন।
গত ১০ অক্টোবর ফরিদপুরের চরভদ্রাসন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।

এ মামলায় গত ২০ অক্টোবর আট সপ্তাহের জন্য হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ থেকে অন্তর্বর্তীকালীন জামিন পান এমপি নিক্সন। এরপর নিম্ন আদালতে এ জামিন পেলেন।

এতে আচরণবিধি ভাঙার অভিযোগে তার বিরুদ্ধে ১৫ অক্টোবর চরভদ্রাসন থানায় এ মামলা করেন চরভদ্রাসন উপজেলা পরিষদের উপনির্বাচনে রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্বে থাকা জেলার জ্যেষ্ঠ জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা নওয়াবুল ইসলাম।

এর আগে ৬ ডিসেম্বর নির্বাচন পরিচালনায় অনিয়মের প্রমাণ পাওয়ায় এ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে উপনির্বাচনটি বাতিল করে দেয় নির্বাচন কমিশন।
ফরিদপুরের নির্বাচনী ইতিহাসে কোনো এমপির বিরুদ্ধে এটাই প্রথম আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে থানায় নিয়মিত মামলা করা হয়েছিল।

সেই ফোনালাপে এমপি নিক্সন তাকে অধিকসংখ্যক ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগের কারণে তার সমর্থিত প্রার্থী পরাজিত হলে মহাসড়ক অবরোধ করাসহ নানা ভয়ভীতি দেখান এবং অশোভন মন্তব্য করেন।

মামলার এজাহারে বলা হয়, জাতীয় সংসদ ২১৪ ফরিদপুর-৪ নির্বাচনী আসনের এমপি মুজিবর রহমান ওরফে নিক্সন চৌধুরী (৪২) গত ৯ অক্টোবর সকাল ৮টার দিকে তার মোবাইল ফোন থেকে ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক অতুল সরকারকে ফোন করে নির্বাচনে অধিকসংখ্যক ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ দেওয়ার জন্য ক্ষোভ প্রকাশ করেন।

এ ছাড়া নির্বাচনের দিন ১০ অক্টোবর চরভদ্রাসন উপজেলার চর অযোধ্যা উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে এক ব্যক্তি নির্বাচন আচরণবিধি লঙ্ঘন করায় দায়িত্বে নিয়োজিত ভাঙ্গার সহকারী কমিশনার (ভূমি) আইনানুগভাবে তাকে আটক করে।

এ ছাড়া নিক্সন নির্বাচনী এলাকায় নির্বাচনী কাজে অংশ নিয়ে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করেছেন। এ ছাড়া নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার পর সমাবেশ ও মিছিলে নেতৃত্ব দিয়ে নির্বাচনী আচরণবিধি ভাঙেন বলে অভিযোগ আনা হয় তার বিরুদ্ধে।

এ ঘটনায় এমপি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) মোবাইল ফোনে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সংশ্লিষ্ট ম্যাজিস্ট্রেটকে ‘সুস্থ মানসিকতা সম্পন্ন মানুষের পক্ষে উচ্চারণ অনুপযোগী অত্যন্ত অশালীন ভাষায় গালিগালাজসহ’ ভয়ভীতি দেখিয়ে হুমকি দেন।

মামলায় উপজেলা পরিষদ নির্বাচন বিধিমালা ২০১৩ ও উপজেলা পরিষদ (নির্বাচন আচরণ) বিধিমালা ২০১৬ বিধি অনুযায়ী নিক্সন চৌধুরীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে মামলার এজাহারে অনুরোধ জানানো হয়েছে।