১৭ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, সন্ধ্যা ৭:৪৬
শিরোনাম:

এক-এগারোয় দেশ ছাড়ার ফন্দি ছিল বাবরের : যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত প্যাট্রিসিয়া বিউটেনিস

২০১৪ সালে যুক্তরাষ্ট্রের ফরেন সার্ভিস থেকে অবসরে যাওয়ার পর দেশটির পররাষ্ট্রবিষয়ক কথ্য ইতিহাস প্রকল্পকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বাংলাদেশে কর্মরত যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক এই রাষ্ট্রদূত এভাবেই বিএনপি নেতা ও সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরের প্রসঙ্গ টেনেছেন।

বিউটেনিস বলেন, সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার দায়িত্ব নেওয়ায় বাবর জানতেন যে তিনি ‘টার্গেট’ হবেন। তিনি আমাকে ও ব্রিটিশ হাইকমিশনারকে তার সঙ্গে দেখা করার জন্য ডাকলেন। আমরা তাতে সাড়া দিই। তিনি আমাদের কাছে আমাদের দেশের ভিসা চান। বাবর বলেছিলেন, তার শ্বাস-প্রশ্বাসে সমস্যা আছে এবং চিকিৎসার জন্য যুক্তরাষ্ট্র বা যুক্তরাজ্যে যাওয়া প্রয়োজন। তবে আমরা জানতাম, নিরাপদে থাকার জন্য তিনি বাংলাদেশ ছেড়ে পালানোর চেষ্টা করছেন। আমার মনে হয়, তিনি কী বিষয়ে আলোচনা করতে চাইছেন তা আমরা আগেই আঁচ করতে পেরেছিলাম এবং আমাদের জবাব কী হতে পারে তা-ও আমরা আগেই আলোচনা করে ঠিক করে নিয়েছিলাম। এরপর তিনি গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে গেছেন।

বিউটেনিস বলেন, আমি জানি, অন্য কূটনীতিকসহ কিছু লোক মনে করতেন যে বাবরের সঙ্গে আমার দূরত্ব বজায় রাখা উচিত। তবে আমি জানি না, আমি যা করেছি তার চেয়ে ভিন্ন কিছু করতাম কি না। সম্ভবত যে কাজটি আমার করা উচিত হয়নি তা হলো, বাগদাদে যাওয়ার উদ্দেশ্যে ঢাকা ছাড়ার আগে বাবরের বিদায়ি নৈশ ভোজের আমন্ত্রণ গ্রহণ করা। অন্যান্য রাষ্ট্রদূত ও আমার সঙ্গে বাবর একটি সম্পর্ক গড়ে তুলেছিলেন। কারণ তিনি বিশ্বাস করতেন যে এতে তার ক্ষমতা ও মর্যাদা বাড়বে। আমি সেই আমন্ত্রণ গ্রহণ করেছিলাম।